ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের সন্দেহ

করোনার উৎস যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে!

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১৮ জুন ২০২১

করোনার উৎস যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে!

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে এক গবেষণায় উঠে আসায় এই ভাইরাসের উৎস তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে দেশটিকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন চীনের জ্যেষ্ঠ এক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেছেন, ভাইরাসটি যেহেতু ডিসেম্বরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে; সেহেতু কোভিড-১৯ এর উৎস অনুসন্ধানে সেখানেই মনোনিবেশ করা উচিত। এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ১৭ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৫২৩ জন। মৃত্যু ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৪১ জন। সুস্থ হয়েছে, ১৬ কোটি ২৫ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন । খবর সিএনএন ও অন্য ওয়েবসাইটের। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ (এনআইএইচ) ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, সরকারীভাবে করোনায় প্রথম শনাক্তের তথ্য প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ অঙ্গরাজ্যের অন্তত সাত বাসিন্দা সার্স- কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান মহামারী বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারী সংবাদমাধ্যম গেøাবাল টাইমসকে বলেছেন, তদন্ত কাজের মনোযোগ এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে সরিয়ে নেয়া উচিত। কারণ প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে দেশটি ধীরগতির পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছিল এবং অনেক জৈব গবেষণাগারও রয়েছে সেখানে। তিনি বলেন, দেশটির জৈব-অস্ত্র সম্পর্কিত যেসব বিষয় রয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। করোনাভাইরাস মহামারীর উৎস অনুসন্ধান যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনারও উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে দৈনিক শনাক্ত ফের বৃদ্ধি ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বের হয়ে আসতে থাকা ভারতে পরপর দুই দিন ধরে দৈনিক শনাক্ত রোগী বেড়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৬৭ হাজার ২০৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আর একই সময় ২৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ভারতীয় ধরন দ্রæত ছড়াচ্ছে ॥ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউন থেকে বের হয়ে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। বেশকিছু অঙ্গরাজ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে দেশটিতে করোনার ভারতীয় ধরন দ্রæত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)।
×