স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ শহরের ইসুলুঘোনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট রোহিঙ্গা যুবক। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কক্সবাজারবাসী শহর এলাকা থেকে বাংলাদেশী দাবিদার সকল রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করার দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে।
জানা যায়, সেই রোহিঙ্গা যুবক নূর মোহাম্মদ ইয়াবা ও অস্ত্র মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তার স্ত্রীও এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করে। তারা মিয়ানমারের নাগরিক হলেও বিএনপি নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগিতায় ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে। হাতিয়ে নিয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। এদিকে ধর্ষণের খবর জানতে পেরে এলাকাবাসী ওই রোহিঙ্গা যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বর্তমানে ধর্ষিতা নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এলাকাবাসী জানায়, চিহ্নিত ইয়াবা, কারবারি ও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী মৃত ছৈয়দ আলমের পুত্র নূর মোহাম্মদ মঙ্গলবার রাতে স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। পরের দিন জানাজানি হলে প্রথমে নূর মোহাম্মদ তা কাউকে পাত্তাও দেয়নি। এতে এলাকাবাসী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ওই লম্পট রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদকে আটক করেছে। ধর্ষিতা (রোহিঙ্গা) নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভারে লম্পট গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, থেকে জানান, সাভারে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মামুন ইসলাম (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মামুন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বেলালদের গ্রামের মৃত আব্বাস মন্ডলের ছেলে। সে সাভারের পূর্ব রাজাসন এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি সকালে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া মামুনের ঘরে ফ্রিজ থেকে মাছ আনতে যায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী। এ সময় জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে মামুন। পরবর্তীতে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনার পর একাধিকবার ভয়ভীতি দেখিয়ে মামুন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাভার মডেল থানার এসআই নাজিউর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
