অনলাইন ডেস্ক ॥ কিলিয়ান এমবাপের নৈপুণ্যে দুইবার এগিয়ে গিয়েও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না পিএসজি। লড়াকু ফুটবলে মোঁপেলিয়ে ম্যাচ নিয়ে গেল টাইব্রেকারে। সেখানে শেষ হাসি অবশ্য মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলের।
বুধবার রাতের সেমি-ফাইনালে ৬-৫ ব্যবধানে জিতে পিএসজি জায়গা করে নিয়েছে ফরাসি কাপের ফাইনালে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াই শেষ হয় ২-২ সমতা।
দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড এমবাপে। প্রথমবার সমতা ফেরান গেইতঁ লেবর্দ, পরেরবার অ্যান্ডি ডেলর্ট।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। ঘরের মাঠে হারের পর ম্যানচেস্টার সিটির মাঠেও হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রেনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ভীষণ কঠিন হয়ে গেছে লিগ ওয়ান শিরোপা ধরে রাখার পথও।
আর এবার তাদের ফরাসি কাপের ফাইনালে যেতে হলো ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে। টাইব্রেকারে দুই দলই প্রথম পাঁচ শটে গোল পায়। ষষ্ঠ শটে গোল করতে ব্যর্থ হন মোঁপেলিয়ের জুনিয়র সামবিয়া। মোইজে কিন জালের দেখা পেলে উল্লাসে মাতে পিএসজি।
চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে গতি ও পায়ের কারিকুরিতে আলো ছড়ান এমবাপে। তার নৈপুণ্যেই শুরু থেকে মোঁপেলিয়েকে চেপে ধরে পিএসজি।
প্রতিপক্ষের মাঠে দশম মিনিটে এগিয়েও যায় দলটি। ইদ্রিসা গেয়ির ডিফেন্স চেরা পাসে ডি বক্সে বল পান এমবাপে। গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠান তিনি।
খেলার ধারার বিপরীতে ৪৫তম মিনিটে সমতা আনে মোঁপেলিয়ে। জরদাঁ ফেরির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন লেবর্দ। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি কেইলর নাভাস। এটাই ছিল লক্ষ্যে মোঁপেলিয়ের প্রথম শট।
দ্বিতীয়ার্ধে একই রকম আক্রমণাত্মক শুরু করে পিএসজি। দ্রুতই মেলে সাফল্য। রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে ৫০তম মিনিটে আবার দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার অনেক সুযোগ আসে। কোনোটাই কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।
রক্ষণ সামাল দিয়ে পাল্টা আক্রমণে মাঝে মধ্যে ভীতি ছড়াচ্ছিল মোঁপেলিয়ে। ৮৩তম মিনিটে সফলও হয়ে যায় দলটি। লেবর্দের চমৎকার ক্রসে বাকিটা সারেন ডেলর্ট।
যোগ করা সময়ে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পিএসজি। মাউরো ইকার্দির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন একজন। কিনের শট দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন মোঁপেলিয়ে গোলরক্ষক।
শেষ পর্যন্ত যদিও সফরকারীদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। টাইব্রেকারে জিতে হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।
চতুর্থ স্তরের দল হৃহিমিয়ি-ভালিয়েয়া ও লিগ ওয়ানের দল মোনাকোর মধ্যে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের জয়ী দলের বিপক্ষে তারা খেলবে ফাইনালে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: