ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানুরূপ নয়’

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানুরূপ নয়’

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানুরূপ নয়। এক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের বেসরকারী খাতের মধ্যে আরও বেশি সম্পর্কোন্নয়নের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাকিস্তানী কাঁচামাল ব্যবহার করে ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারেন। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে কথাগুলো বলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশী পণ্যের এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানী পণ্যের একক প্রদর্শনীর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন এবং আমদানি-রফতানিতে প্রচলিত পণ্যের বাইরে নতুন নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান। তিনি উভয় পক্ষ যাতে সমানভাবে উপকৃত হয় সেই লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ মধ্য এশিয়াসহ পাকিস্তান থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহার করে সমুদ্রপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পরিচালনা করা হলে তা সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে। তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, পর্যটন প্রসারে ট্যুর প্রোগ্রাম আয়োজন এবং ভিসা সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, পাকিস্তানে গড় ট্যারিফ বাংলাদেশ থেকে কম হলেও উচ্চশুল্কের কারণে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কোটা ও সংখ্যার সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য ও মানগত বাধ্যবাধকতা এবং পাকিস্তান সরকারী এজেন্সির একচ্ছত্র আমদানি অন্যতম বাধা বলে তিনি মন্তব্য করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের রফতানির তুলনায় আমদানি অনেক বেশি উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণ, রুলস অব অরিজিন সহজীকরণ এবং সমুদ্র পথে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে করাচী বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরাসরি ঢাকা-করাচী বিমান যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানান চেম্বার সভাপতি। চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ মতবিনিময় সভায় চেম্বার পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য এসএম আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক হাবিব মহিউদ্দিন এবং দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সুলেমান খান বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
×