ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশান-বারিধারায় জমি সঙ্কটে পূর্বাচলে হতে পারে কূটনৈতিক জোন

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ২১ জানুয়ারি ২০২১

গুলশান-বারিধারায় জমি সঙ্কটে পূর্বাচলে হতে পারে কূটনৈতিক জোন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ চাহিদার বিপরীতে গুলশান-বারিধারায় জমি না থাকায় পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার সংসদে জামালপুর-৫ আসনের সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নে তিনি বলেন, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় অফিস স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি দূতাবাস/হাই কমিশন কর্তৃক জমির চাহিদা রয়েছে। তবে জমির অপ্রতুলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১০টি বিদেশি দূতাবাস কর্তৃক প্লটের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশেষত ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কুয়েত, মায়ানমার ও আফগানিস্তান তাদের দূতাবাস স্থাপনের সূচনালগ্ন থেকেই এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত ৫০টি কূটনৈতিক মিশনের মধ্যে যারা বরাদ্দপ্রাপ্ত অথবা নিজস্ব ক্রয়কৃত জমি ব্যবহার করছে না, তারাও আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে মর্মে ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মন্ত্রী বলেন, দূতাবাস স্থাপনের জন্য নতুন নতুন চাহিদার বিপরীতে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা কূটনৈতিক জোনে পর্যাপ্ত জমির সংকুলান করা অতি দুরূহ। এমতাবস্থায় পূর্বাচলে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নির্ধারিত কূটনৈতিক জোন গড়ে তোলা প্রয়োজন হতে পারে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ইতোমধ্যেই একটি ডিপ্লোমেটিক জোন করা হয়েছে বলে রাজউকের তথ্যের বরাতে জানান তিনি। নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হাঙ্গেরি সরকার একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপনে বাংলাদেশ সরকারের সম্মতি চেয়েছে। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নে মোমেন বলেন, এই মুহূর্তে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা মোকাবেলায় আইনি সহায়তা দিতে বিদ্যমান বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কোনো আইন সহায়তা কেন্দ্র/ডেস্ক নেই। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। তিনি জানান, আইনি সহায়তা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাজেটে আলাদা একটা বাজেট কোড রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে উক্ত বাজেট কোডের বিপরীতে আট কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রবাসে জেলে আটকে পড়া কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় পড়া বাংলাদেশিদের সহায়তা করার জন্য দূতাবাস হতে প্রাপ্ত চাহিদা মোতাবেক মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আমি বলতে চাই সম্প্রতি ভারতের কলকাতা ও আসামে আটককৃত বাংলাদেশিদের আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়। নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ৮২ হাজার ৬৫৪ জন বন্দি আটক আছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭৯ হাজার ৪৫৪ জন ও নারী তিন হাজার ২০০ জন। দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে কারাগারের ধারণক্ষমতা কত হবে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড নেই। বাংলাদেশের ৬৮টি কারাগারের বর্তমান বন্দি ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৪৫০ জন। চট্টগ্রাম-৪ আসনের দীদারুল আলমের প্রশ্নে তিনি বলেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা যথেষ্ট নয়। ঢাকা-চট্টগ্রামে পুলিশের জনবল বাড়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা/ইউনিট থেকে প্রস্তাব পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি। বর্তমান সরকারের বিগত দুই মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে বিভিন্ন পদবীর মোট নয় হাজার ৪৫৬টি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে বিভিন্ন পদবীর দুই হাজার ১৩১টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
×