ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ

ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে করোনার হানা

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে করোনার হানা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমবার পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ হলেন। দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় হলেন করোনা ‘পজিটিভ’। তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বামহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ খেলা শেষ হয়ে গেল। ওয়ালশের করোনা আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরেও করোনার হানা হলো। প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আর মাত্র চারদিন পরই ২০ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়ে যাবে। ২০, ২২ ও ২৫ জানুয়ারি যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জানুয়ারি ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার আগে ওয়ালশ আর করোনাভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারবেন না। ১৪ দিন তো সেলফ আইসোলেশনেই থাকতে হবে। আজ থেকে ১৪ দিন ধরলে তো ২৯ জানুয়ারি আইসোলেশন শেষ হয়। ওয়ালশকে এখন সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে। টানা দুইবার করোনা ‘নেগেটিভ’ না আসা পর্যন্ত আইসোলেশনেই থাকতে হবে ওয়ালশ জুনিয়রকে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট উইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। তারা জানিয়েছে, গত বুধবার দলটির খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় দফা পিসিআর টেস্টের পর ২৮ বছর বয়সী ওয়ালশের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফল সঠিক কিনা যাচাইয়ের জন্য আরও একবার পরীক্ষা করানো হয় তাকে। তাতে কোন হেরফের হয়নি। তবে ওয়ালশ ছাড়া বাকিদের ফল আগের মতোই নেগেটিভ এসেছে। সিডব্লিউ আরও জানিয়েছে, ওয়ালশের শরীরে কোন উপসর্গ নেই। তাকে উইন্ডিজ দলের বাকি সদস্যদের থেকে আলাদা করা হয়েছে। তিনি এখন আছেন দলের চিকিৎসক প্রেমানন্দ সিংয়ের তত্ত্বাবধানে। দুটি নেগেটিভ ফল না আসা পর্যন্ত তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। ৬ দিন আগে ১০ জানুয়ারি রবিবার ঢাকায় পা রাখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ক্রিকেটাররা। সেদিনই প্রথম দফা করোনা পরীক্ষা করা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের। সবার ফলই আসে ‘নেগেটিভ’। এরপর ক্যারিবীয়রা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকেন। তিনদিন থাকার পর চতুর্থদিন বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামেন। ওয়ালশের পরিবর্তে এখন দলে কাকে নেয়া হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আগেই করোনার হানা পড়েছিল। বাংলাদেশে পৌঁছানোর আগেই দলটির ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা ডানহাতি মিডিয়াম পেসার রোমারিও শেফার্ডের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। যে কারণে ২৬ বছর বয়সী এই পেসার বাংলাদেশ সফরে যুক্ত হতে পারেননি। এই করোনাভীতির জন্য বাংলাদেশ সফরে আসেননি টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড, ড্যারেন ব্রাভো, শামার ব্রুকস, রোস্টন চেজ, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরান। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসেননি ফ্যাবিয়ান এ্যালেন ও শেন ডওরিচ। দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দলে এখন ১৫ ক্রিকেটার থেকে আছেন ১৪ ক্রিকেটার। জেসন মোহাম্মেদ (অধিনায়ক), সুনীল আমব্রিস, এনক্রুমা বোনের, জশুয়া ডি সিলভা, জামার হ্যামিল্টন, শেমার হোল্ডার, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্স, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, কেজর্ন ওটলি, রভম্যান পাওয়েল, রেমন রিফার, কিয়ন হার্ডিং রয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের ঢাকায় দুই দফা পরীক্ষা করানো হয়েছে। ঢাকায় পৌঁছানোর আগেও দুই দফা পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরীক্ষায় শেফার্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবং ওয়ালশ জুনিয়র ঢাকায় করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। ঢাকায় এসেই করোনা পরীক্ষা যখন করা হয় তখন থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা সেলফ আইসোলেশনে থাকেন। দ্বিতীয় দফায় করোনা ‘নেগেটিভ’ না হওয়া পর্যন্ত সেলফ আইসোলেশনেই থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় দফায় ওয়ালশ ছাড়া সবাই সেলফ আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলনও করা শুরু করে দেন। কিন্তু ওয়ালশ তা করতে পারেননি। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ পেলেও এখানে এসে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় দুইবার করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। তাতে করে ওয়ানডে সিরিজে খেলা তার শেষ হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরেও করোনা হানা পড়ে।
×