ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত ৩০ দিনে ৫০ শতাংশের বেশি দর বাড়া অথবা কোম্পানির ওপর তদন্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পরদিনই শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ল তিন শতাংশের বেশি। তবে দর বাড়লেও বিক্রেতা কমে যাওয়ায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সেখানে বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ডিএসইতে বাজার মূলধন এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ পাঁচ লাখ ১ হাজার কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসে যেসব কোম্পানির দর ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে বা কমেছে এমন কোম্পানির বিষয়ে প্রধান শেয়ারবাজারকে তদন্তের গাইড লাইন দিয়ে চিঠি পাঠায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার এই চিঠি পাঠানোর পরদিনই শেয়ারবাজারে সূচকের বড় ধরনের পতন ঘটেছে। বুধবার বিএসইসির পক্ষ থেকে আগের চিঠিকে বাতিল করে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়। মূলত তদন্তের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণেই বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে থাকে। যার কারণে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরে আসে শেয়ার। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা পৌঁছায়। যা সাম্প্রতিককালের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন ১১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৯০ হাজার ৩১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার। এর আগে ১২ জানুয়ারি বাজার মূলধন ১২ হাজার ৫০০ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫১ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার টাকায় পৌঁছায়। এদিনটিও বাজার মূলধন রেকর্ড পরিমাণে অবস্থান করে। আগের দিন অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৫১ কোটি ৬ লাখ ৮ হাজার টাকায়। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৯.৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৯.৩০ পয়েন্টে। ডিএসইর এই সূচকটি ১ বছর ১১ মাস ১৫ দিন বা সাড়ে ২৩ মাস বা ৪৩৩ কার্যদিবস পর ৫ হাজার ৯০০ পয়েন্ট অতিক্রম করল। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সূচকটি ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২১.৮৭ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৭৬.৮৯ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১২.১৮ বেড়ে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩২৩.৫০ পয়েন্টে, ২২৩৬.৭৭ পয়েন্টে এবং ১২৭৬.৩০ পয়েন্টে। ডিএসইতে ২ হাজার ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৯টির বা ৪৩.৯২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৩৩টির বা ৩৬.৭৪ শতাংশের এবং ৭০টির বা ১৯.৩৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২২.৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১৯.৯৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৮৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৭টির আর ৪২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
×