ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

থার্টি ফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

থার্টি ফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থার্টি ফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করা যাবে। এর বাইরে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করেনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তরফ থেকে। ইতোমধ্যেই সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ ইতোমধ্যেই থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশকে সর্তক অবস্থানে থাকতে বলেছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তামূলক নির্দেশনা জারি করেছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১. ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। ২. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। ৩. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পরে বহিরাগত কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবেন। ৬. গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্র্ক এ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন। ৭. সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের বর্ণিত এলাকায় আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ৮. রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। ৯. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরতে অনুরোধ করা হয়েছে। ১০. সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকার কোন বার বা পানশালা খোলা রাখা যাবে না। ১১. রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে। ১২. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে কোনভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া যাবে না। ১৩. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। যানবাহন চলাচল ও পরামর্শ ॥ ১. ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক এ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বসবাসরত নাগরিকদের রাত ৮টার মধ্যে ওই এলাকায় প্রবেশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ২. রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শূটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। তবে এসব এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। ৩. একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত শুধু শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে এবং শনাক্তকরণের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৪. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে টিএসসি, রোমানা স্কয়ার, ঢাকা মেডিক্যাল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্র্য ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, বকশীবাজার ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এবং শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোন ধরনের যানবাহন প্রবেশ করবে না। শুধু বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। ৫. হাইকোর্ট ক্রসিং দিয়ে আসা সব ধরনের যানবাহন দোয়েল চত্বরের বামে মোড় নিয়ে শহীদুল্লাহ হল হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। ৬. কেউ বেপরোয়া, মদ্যপ ও বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়ি চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৭. সড়ক ব্যবহার সংক্রান্তে যে কোন জরুরী প্রয়োজনে ফোন করতে বলা হয়েছে, ডিসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৩২০-০৪৪৩৬০, এডিসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৩২০-০৪৪৩৬১, এসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৩২০-০৪৪৩৭২, এসি ট্রাফিক (মহাখালী)-০১৩২০-০৪৪৩৭৫, ডিসি ট্রাফিক (রমনা)-০১৩২০-০৪২২৬০, এডিসি ট্রাফিক (রমনা)-০১৩২০-০৪২২৬১, ডিসি (গুলশান)-০১৩২০-০৪১৪২০ ও ডিসি (রমনা)-০১৩২০-০৩৯৪৪০ নম্বরসমূহে।
×