ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জুনের মধ্যেই সাড়ে পাঁচ কোটি করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে

প্রকাশিত: ২২:২৭, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

জুনের মধ্যেই সাড়ে পাঁচ কোটি করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জুনের মধ্যেই সাড়ে পাঁচ কোটি করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় এসব ভ্যাকসিন দেশে আসবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ এবং টিকার জন্য স্থাপিত গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। বাংলাদেশে ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য স্থাপিত গবেষণাগারটি গত মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি এবং কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে আরও আড়াই কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে করে মোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভেতরে পেয়ে যাচ্ছে। কোভ্যাক্সের প্রতিশ্রুত ভ্যাকসিন মে এবং জুন মাসের ভেতরে পাওয়ার আশা করছি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য সরকারের ক্রয়চুক্তি হয়ে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকার জন্য ক্রয়াদেশও পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করতে পারি, জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে। যখনই এ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সে ভ্যাকসিন পাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে বাংলাদেশকে। সে হিসেবে ৩ কোটি ডোজ টিকা আসতে লাগবে ছয় মাস। আর কোভেক্সের টিকাও একবারে দেবে না। আমরা প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব। সে হিসেবে অক্সফোর্ডের টিকা দিতে লাগবে ৬ ছয় মাস। সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা দিতে প্রায় বছর খানেক সময় লাগবে। গরিব দেশগুলোও যাতে ভ্যাকসিন পায়, সেই লক্ষ্যেই গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল এ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি বা কোভ্যাক্স নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস এ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস বা সিইপিআই। এই জোট আসছে নতুন বছরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশে ১৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা সরবরাহ করবে তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য যে স্থানীয় প্রস্তুতি, সেটাও আমরা যথাযথভাবে নিয়েছি। স্টোরেজ করেছি। ভ্যাকসিনের তাপমাত্রা মেনটেন করার জন্য কিছু বাড়তি শীতলীকরণ ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে। সেটার ব্যবস্থাও হয়ে গেছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ এবং ভ্যাকসিন পরীক্ষার গবেষণাগার ঘুরে দেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে নয়টি টিকা দেয়া হয়, সেগুলো পরীক্ষা হয় এই গবেষণাগারে। করোনাভাইরাসের টিকাও পরীক্ষা হবে এখানে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
×