ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু সামিউল হত্যা

মা এশা ও পরকীয়া প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ২২:১৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

মা এশা ও পরকীয়া প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ড

কোর্ট রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় তার মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও পরকীয়া প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা উপস্থিত না থাকায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ২৩ নবেম্বরও তিনি আদালতে হাজির হননি। মামলার আরেক আসামি শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) পলাতক আছেন। এশা ও বাক্কু দুজনেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। জানা যায়, সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজী মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়ত। বাক্কুর সঙ্গে এশার প্রেমের সম্পর্ক দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে রাখা হয়। পরদিন লাশ বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। ২৪ জুন লাশ নবোদয় হাউজিং এলাকায় পাওয়ার পর শিশুটির বাবা আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মায়ের বিয়েবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্কের শিকার হতে হলো নিষ্পাপ শিশু সামিউলকে। তাই হত্যায় সরাসরি অংশ না নিলেও একমাত্র সন্তানকে হত্যায় মায়ের যে প্ররোচনা ও সহায়তা, তাতে সে অনুকম্পা পেতে পারে না। মৃত্যুদণ্ডই তার জন্য একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি। এরপর আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। গত ২৩ নবেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেছিল এবং গত ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর ধার্য করে আদালত।
×