ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে করোনাভাইরাস ॥ গবেষণা

প্রকাশিত: ২২:১২, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে করোনাভাইরাস ॥ গবেষণা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জার্মানির বার্লিন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় জানা গেছে, নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে করোনাভাইরাস। আর বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহে প্রস্তুত চীন। এছাড়া বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভাইরাসের উৎস বের করতে সব কিছু করা হবে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিল ব্রিটেন। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। তাছাড়া ইউরোপে করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন চেয়েছে ফাইজার। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের। বিশ্বব্যাপী বুধবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫০৯ জন। মারা গেছেন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯২১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে চার কোটি ৪৭ লাখ ৩৭ হাজার ১০৭ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছে এক কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৩ জন। যাদের মধ্যে এক লাখ ছয় হাজার ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৩ জন সংক্রমিত হয়েছে। একদিনে মারা গেছে ১১ হাজার ৮৯৫ জন। এদিকে শুধু শ্বাসনালী ও ফুসফুস নয়, নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে যাচ্ছে করোনাভাইরাস। এটি সংক্রমিত করছে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে। এর ফলেই স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছেন মানুষ। সম্প্রতি জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। নেচার নিউরো-সায়েন্সেস পত্রিকায় ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মস্তিষ্কে ভাইরাস পৌঁছাচ্ছে বিষয়টি আগে জানা গেলেও কিভাবে পৌঁছাচ্ছে, তা নিয়ে এতদিন স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। গবেষকরা জানান, নাক দিয়ে মস্তিষ্কে ভাইরাস পৌঁছে যাওয়ায় করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, রোগীর স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, পেশির যন্ত্রণা ইত্যাদি। প্রতিবেদনে দেখা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন কোন কোন রোগীর নাকের ভেতরে (ন্যাসো ফ্যারিংস) ভাইরাসের কিছু উপাদান মিলেছে। একই উপাদান মিলেছে ওই রোগীর মস্তিষ্কেও। সেই সূত্র ধরেই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। ভ্যাকসিন সরবরাহে প্রস্তুত চীন ॥ চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, শুরুতে করোনা মোকাবেলায় ভুল পদক্ষেপের কারণেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এ নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে করোনার উৎসভূমির দেশটি। তবে সেই খারাপ ভাবমূর্তি দূর করার একটি সুযোগ এসেছে চীনের সামনে। দৃশ্যত সে সুযোগ লুফেও নিচ্ছে দেশটি। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে দেশটি। তার প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে তারা। চীন তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন পেলেই বিশ্বব্যাপী তা সরবরাহ করবে। ভাইরাসের উৎস বের করতে সব কিছু করা হবে ॥ কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উৎস বের করার সব চেষ্টা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসেস এ কথা বলেছেন। ভবিষ্যতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এর উৎস জানা জরুরী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। টেড্রোস বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাভাইরাস-রহস্যের গভীরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। যেসব সমালোচক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ব্যবস্থাপনা এবং চীনের বিরুদ্ধে পক্ষপাত নিয়ে কথা বলছেন, তাদের বিষয়টি রাজনৈতিকীকরণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, সংস্থাটির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা ভাইরাসটির উৎস জানতে চাই। ইউরোপে অনুমোদন চাইল ফাইজার ॥ জার্মানভিত্তিক কোম্পানি বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার তাদের উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিনটি অনুমোদনের জন্য ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। আমস্টারডামে অবস্থিত ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) নিশ্চিত করেছে যে, তারা আবেদনটি পেয়েছে। ফাইজার এবং বায়োএনটেক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইএমএ অনুমোদন দিলে ২০২১ সালের আগে ইউরোপে করোনার ভ্যাকসিন ‘বিএনটি১৬২বি২’ ব্যবহার সম্ভব হবে।
×