স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ক বক্তব্য ছেঁটে প্রচার করায় নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।
মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত বিশেষ প্রস্তাবের উপর আলোচনা অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন থেকে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ক বক্তব্য ছেঁটে প্রচার সঠিক হয়নি। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর মুশতাক-জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা, ইতিহাস বিকৃত করার লাগাতার অপচেষ্টা চলেছে।
তারা বলেন, আজ যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংসদে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন কেটেছেঁটে বিকৃত করে প্রচার দুর্ভাগ্যজনক। তারা বলেন, ঐতিহাসিক সত্য আড়াল করা, ইতিহাস বিকৃত করা, মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করার সাথে যুক্ত মুশতাক-জিয়া-এরশাদ-খালেদার ভূত এখনও সরকার ও প্রশাসনের অভ্যন্তরে গোপনে ক্রিয়াশীল আছে। জাসদ নেতৃদ্বয় বঙ্গবন্ধুর ভাষন বিকৃতকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান।
এদিকে দলের পক্ষ থেকে অপর এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংসদে গত ১৭ নবেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ (সংশোধন) বিল-২০২০ এর উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিমের নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের নিন্দা এবং এ বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান। তারা বলেন, জাতীয় সংসদে তেঁতুল তত্ত্বের পক্ষে ওকালতি তথা নারী স্বাধীনতা, নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরা, নারীর জীবিকা অর্জণের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ, নারীর পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান শুধু দুঃখজনকই নয় জাতীয় সংসদের জন্য চরম অবমাননাকরও বটে। তারা এই সংসদ সদস্যকে সংসদ ও জাতির সামনে তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার জন্য জাতীয় সংসদের স্পীকার ও হুইপদের প্রতি আহবান জানান।