ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে আশার আলো ॥ যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ১৭ নভেম্বর ২০২০

দেশে আশার আলো ॥ যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল

এম শাহজাহান ॥ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের চেয়ে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন সরকার তৃতীয় বিশ্বের ব্যাপারে উদার হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অমীমাংসিত কিছু বিষয়ে মীমাংসাসহ বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা আদায় করবে। করোনা মহামারী বিবেচনায় নিয়ে এলডিসি উত্তরণে আগামী দু’বছরের জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকার শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ ও আইটি পার্কে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব দেয়া হবে দেশটির নতুন সরকারকে। এছাড়া জো বাইডেনের কাছে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা চাওয়া হবে। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে একটি কর্মকৌশল প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি হবে। প্রত্যেক দেশের সরকারই তাদের স্বার্থ আগে দেখে। দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারও সেটি করবে। ফলে তাদের নিজেদের গরজে এবং ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং তারা নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অত্যন্ত পরিপক্ব রাজনীতিবিদ। তার সঙ্গে এর আগেও আমরা কাজ করেছি। তিনি আমেরিকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে তার সঙ্গে আমাদের অনেক কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে বলেই আমরা মনে করছি। জানা গেছে, রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার যৌক্তিক কারণগুলো বাইডেন প্রশাসনের কাছে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ। এতে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা অর্থনৈতিক সঙ্কট একে একে দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তারা। পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায়ে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। দেশটিতে রফতানির ৯৮ শতাংশ হচ্ছে পোশাক সামগ্রী। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয় ৫১ হাজার কোটি এবং বিপরীতে আমদানি হয় ১৭ হাজার কোটি টাকার পণ্য। শুধু পোশাক রফতানির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রকে বছরে শুল্ককর দিতে হচ্ছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। বড় অঙ্কের এই বাণিজ্য প্রতিবছর বাড়ছে। দেশটি এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে কোন শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। যদিও পোশাকের বাইরে অপ্রচলিত ৯৭ ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে আবার শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে রাখা হয়েছে যা, রফতানির ক্ষেত্রে কোন কাজে আসছে না। এ নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সঙ্গে দর কষাকষি চলছে ১৬ বছর ধরে। সংস্থাটির দোহা রাউন্ডে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলা হলেও তার কোন সুরাহা হয়নি। অন্যদিকে, পোশাক-রফতানির ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়াকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। সমস্যাটি সমাধানে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নির্দেশনা থাকলেও তৎকালীন ওবামা প্রশাসন এ বিষয়ে এগিয়ে আসেনি। বিদায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনও সেই ধারা বজায় রাখে। বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি। রফতানির ৯৮ ভাগ পণ্য তৈরি পোশাক হলেও তাতে শুল্ক সুবিধা নেই। এ কারণে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে দেশটির নতুন সরকারের কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হবে। তিনি বলেন, এলডিসি দেশ হিসেবে আরও দু’বছর বাংলাদেশের এই সুযোগ রয়েছে। এ কারণে এলডিসি উত্তরণেই ১৭ হাজার কোটি টাকার শুল্ক সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। দেশটির নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তাদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, করোনার টিকা পাওয়া, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে টিকফা কার্যকর করার কথাও বলা হবে। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশ হিসেবে রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার। বিষয়টি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় দর কষাকষির বাইরেও সরকার বিভিন্ন ফোরামে বলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলার এখন সবচেয়ে শক্তিশালী ফোরাম হচ্ছে টিকফা। ইতোমধ্যে এ ফোরামের ৫টি বৈঠক করেছে উভয় দেশ। টিকফা ফোরামের সব বৈঠকেই শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। টিকফা ফোরামের আগামী ষষ্ঠ বৈঠকেও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ জোর দাবি তুলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা)-এর ইন্টারসেশনাল সভা হয় গত অক্টোবর মাসে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীনের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাসিস্ট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ এশিয়া ক্রিস উইলসনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই সময় তৈরি পোশাক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ প্রোডাক্ট রফতানি, করোনাকালে তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল না করা, ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য মেডিক্যাল সামগ্রী উৎপাদন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্প কারখানা বাংলাদেশে রিলোকেশন, কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের তৈরি পণ্য সহজে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির বিষয়ে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা কামনা করে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক রফতানির ওপর শুল্ক কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের ঘোষিত সুযোগ-সুবিধা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসে জো বাইডেন নতুন প্রেসিডেন্ট হতে শপথ নিতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআরেও শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়টি আবারও উপস্থাপন করা হবে। করোনা মহামারী ও এলডিসি উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে। এর পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। তিনি বলেন, জিএসপি নিয়ে আলোচনা ছিল। আগামীতে নতুন সরকারের সঙ্গে এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও এলডিসি উত্তরণের মতো বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জানা গেছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র ও এলডিসি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সব ধরনের শুল্ককর সুবিধা পাওয়ার কথা। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর রফতানিতে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় মার্কিন সরকার। এর আগে ২০০৫ সালে কোটামুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে এফসিসিআইয়ের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, আমেরিকার কাছ থেকে শুল্ক ও কোটা সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশকে দর কষাকষির দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। এটাতে এখনও দুর্বল অবস্থানে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, একতরফাভাবে বাংলাদেশকে কিছু দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে দর কষাকষি করে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার দাবি আদায় করতে হবে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, জিএসপির আওতায় বাংলাদেশের মোট রফতানির মাত্র ৩ শতাংশ যায় আমেরিকায়। এ ছাড়া, বাংলাদেশের প্রধান রফতানিযোগ্য পণ্য পোশাক ও টেক্সটাইল জিএসপির তালিকায় নেই। ফলে নতুন সরকারের কাছে বাংলাদেশের একমাত্র দাবি পোশাক পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা আদায়। জানা গেছে, কয়েক দফা দুদেশের সরকার টু সরকার পর্যায়ে (জি টু জি) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, শ্রম অধিকার ইস্যু সামনে এনে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়। নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর এই সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছে। এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে হলে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়ন আরও দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে আরও সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেছেন দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগে ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যকর, কোম্পানি আইন সংস্কার, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি এবং শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বেশকিছু কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া জীবনমান উন্নয়নে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের মতো প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কিন্তু নতুন সঙ্কট করোনা মহামারী মোকাবেলায়ও বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সরকারকে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভাল উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি ১০০টি অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক জোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অনুরোধ করেন। বাংলাদেশে ২৮টি আইটি পার্কে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এছাড়া পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরাও নতুন সরকারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি হয়। অথচ সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। আশা করছি, নতুন জো বাইডেন সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
×