ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

ড্রেজিং করে নদীর বালু নদীতে ফেলা হচ্ছে!

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ৩০ অক্টোবর ২০২০

ড্রেজিং করে নদীর বালু নদীতে ফেলা হচ্ছে!

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নদী খননের কাজকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ উল্লেখ করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর বালি আবার নদীতেই ফেলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে নদী খননের বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে আগামী একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে। কমিটি বলছে, নাব্যর অভাবে আরিচা, গোয়ালন্দ ও মাওয়া ঘাটসহ কয়েকটি ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএ বলেছে তারা ড্রেজিং করেছে। এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে বলেছে কমিটি। কমিটির সভাপতি সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম এবং মুহিবুর রহমান মানিক অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ তার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, ড্রেজিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নেই বলে কমিটি মনে করে। নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালি তুলে তা আবার নদীতেই ফেলা হয়। নদীর পাড়ের জমি লিজ বা ভাড়া নিয়ে সেখানে বালি ফেলতে পারে, তাহলে কত পরিমাণ বালি তোলা হয়েছে তা জানা যাবে। তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু কার্যত ড্রেজিং দৃশ্যমান নয়। আরিচা, মাওয়া ফেরি বন্ধ, অথচ বলা হচ্ছে ড্রেজিং চলছে। ড্রেজার কেনাতেও স্বচ্ছতা নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে নৌপথকে সচল রাখতে ড্রেজিংকৃত পলিমাটি/বালি পুনরায় নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা এবং নদী ভাঙ্গনরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কমিটি সুপারিশ করেছে। এছাড়া বৈঠকে নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে নৌ টার্মিনালে প্রবেশে টিকেটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে নদী খনন, নদী দূষণ ও দখল রোধসহ সব কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরসমূহের প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, নদী দখল ও দূষণরোধে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও সরকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ/দখলমুক্ত করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। হঠাৎ পেঁয়াজ সঙ্কট কাটাতে পরিকল্পনা ॥ পেঁয়াজের ‘হঠাৎ সঙ্কট’ কাটাতে কমপক্ষে ৬ মাস আগেই পরিকল্পনা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ মোসলেম উদ্দিন, মোঃ মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন খান, জয়া সেনগুপ্তা, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং হোসনে আরা বৈঠকে অংশ নেন।
×