ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল থেকে টাকা পাঠানো যাবে ব্যাংকে

প্রকাশিত: ০০:০১, ২৭ অক্টোবর ২০২০

মোবাইল থেকে টাকা পাঠানো যাবে ব্যাংকে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোবাইল ব্যাংকের এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরেও পাঠানো যাবে টাকা। এখন কোন একটি অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে টাকা পাঠানো যায় না। আজ মঙ্গলবার থেকে মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক সেবার মধ্যে আন্তঃলেনদেন চালু হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে বা মোবাইল ব্যাংকিং থেকে যে কোন ব্যাংকের হিসাবে টাকা পাঠানো যাবে। এক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে অন্য ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবেও লেনদেন করা যাবে। ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকে বা মোবাইল ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে খরচ হবে হাজারে সাড়ে চার টাকা। আর এক মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে অন্য অপারেটরের হিসাবে টাকা পাঠাতে খরচ হবে হাজারে আট টাকা। উদাহরণ স্বরূপ, কোন গ্রাহক ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের গ্রাহককে টাকা পাঠায়, তাহলে মোট লেনদেনের ওপর বিকাশ প্রতি হাজারে আট টাকা করে রকেটকে ফি দেবে। এর আগে বৃহস্পতিবার এক সার্কুলার জারি করে নির্দেশনার কথা জানায়। ওই সার্কুলারে বলা হয়, আপাতত যেসব ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান আন্তঃলেনদেন প্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে শেষ করেছে তারাই এই সেবা চালু করতে পারবে। যেসব ব্যাংক ও এমএফএস এখনও আন্তঃলেনদেন সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি, তাদেরকে এই সেবা চালু করতে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন হাতে গোনা দুই একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি ছিল। তবে ব্যাংক থেকে কেবল মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা পাঠানো যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে এই দুই ধরনের সেবার মধ্যে সংযোগ ঘটাতে আলাদা কোন আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন পড়বে না বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। আন্তঃলেনদেনের খরচের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আন্তঃলেনদেনের জন্য ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যমান লেনদেন ফি-এর অতিরিক্ত মাসুল আদায় করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত দেশে ৫৯টি ব্যাংকে ১১ কোটি ১৬ লাখ আমানত হিসাব রয়েছে। গত আগস্ট পর্যন্ত ১৫টি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে চার কোটি হিসাব সক্রিয় ছিল।
×