ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগুনমুখায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ৫ যাত্রীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৫ অক্টোবর ২০২০

আগুনমুখায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ৫ যাত্রীর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজন এসব লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, লাশগুলো কোড়ালিয়া ঘাট থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহতরা হলেন রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মহিবুল্লাহ হক (৫৭), বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশার কর্মকর্তা কবির হোসেন (৩১), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মোঃ হাসান মিয়া (৩০) ও মোঃ ইমরান (৩২)। নিহত মহিব্বুল্লাহ বরিশালের বাকেরগঞ্জের জিরাইন গ্রামের মৃত রহমান হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদরের আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফলের আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদরের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মোঃ ইমরান বাউফলের জয়গোড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুনমুখা নদীতে স্পীডবোট দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনাকালে নদী বন্দরে ২ নম্বর ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পীডবোটটি কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে আসে। মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পীডবোটের তলা ফেটে উল্টে যায়। সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হয়। বাকি পাঁচজন নিখোঁজ রয়ে যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের আওতাধীন বিসিজি স্টেশন রাবনাবাদ এবং বিসিজি আউটপোস্ট রাঙ্গাবালী থেকে দুটি উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে শনিবার সকাল পৌনে সাতটায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি এবং কোস্টগার্ডের তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজন আরও তিনটি মৃত দেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পানপট্টি থেকে একটি মরদেহসহ পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মৃতদেহ রাঙ্গাবালী থানায় হস্থান্তর করা হয়। কোস্টগার্ডের এ ধরনের উদ্ধার অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ জানান, পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু পানিতে ডুবে মারা গেছে, সেহেতু আমরাও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ¯পীডবোট চালানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×