ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢামেক হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টিরে খপ্পরে স্বর্ণালংকা খুইঁয়েছেন এক নারী

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ১৮ অক্টোবর ২০২০

ঢামেক হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টিরে খপ্পরে স্বর্ণালংকা খুইঁয়েছেন এক নারী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের ভেতরে অজ্ঞান পার্টিরে খপ্পরে পড়ে মরিয়ম বেগম (৬৫) নামে এক নারী র্স্বণালংকার খুইঁয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা মরিয়মের মেয়ে সাথী সন্তান সম্ভবনার কারণে তিনদিন আগে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মরিয়মের মেয়ের জামাই হারুন-অর-রশিদ জানান, মেয়ের সাথীকে দেখভালের জন্য তার মা মরিয়ম বেগম শুক্রবার হাসপাতলে আসেন। তিনি জানান, শনিবার বিকেলের দিকে ওই ওয়ার্ডে বারান্দায় পাটি বিছিয়ে বসে ছিল তার শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম। পাশে অন্যান্য রোগীর স্বজনরা ছিল। তিনি জানান, দুই নারী এসে আমার শাশুড়ির সাথে অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সম্পর্ক তৈরি করে। এক পর্যায়ে শ্বাশুড়িকে বলে পানখান। পরে আমার শাশুড়িকে চুলগুলো আছড়িয়ে দেয়। অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমার শ্বাশুড়ি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন ওই দুই নারী সবার অগোচরে আমার শ্বাশুড়ির কান থেকে স্বর্ণের দুইটি দুল ও গলায় থাকা চেন নিয়ে যায়। হারুন-অর-রশিদ জানান, ঘটনার সময় আমার শ্বাশুড়ি পাশে আমি ছিলাম না। আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে এসব ঘটনা শুনেছি। ঘটনার পরপর ওই ওয়ার্ড থেকে অচেতন অবস্থায় শ্বশুড়ি মরিয়ম বেগমকে জরুরি বিভাগে তার পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়েছে। এরপর সেই ওই ওয়ার্ডের বারান্দায় এখনও অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। একই ওয়ার্ডের আরেক রোগীর বাবা মনির হোসেন জানান, দেখলাম দু’জন নারী এসে ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলছে। তার মাথার চুল আঁচড়ে দিয়েছে। তারপরে বলছে পানখান। এর কিছুক্ষণ পরে দেখি ওই মরিয়ম বেগম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই দুই নারীকে আর দেখতে পায়নি। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আব্দুল কাইয়ূম জানান, এক দেড় মাস আগেও একই জায়গায় দুই নারীকে অচেতন করে কানের দুল টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। আজকে আবার একই ঘটনা ঘটল। ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যকে প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মোঃ মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ঘটনাটি ২১২ ওয়ার্ড হচ্ছে হাসপাতালে ভেতরে। ওখানে আনসার সদস্যরা রাতদিন ২৩ ঘন্টা ডিউটি করে। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাদের স্বজনকে বলেছি শাহবাগ থানায় একটা জিডি করতে। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা দেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের শনাক্ত করা যাবে।
×