ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা দ্বিতীয় পত্রে অ+ পাওয়ার জন্য করণীয় মোঃ সেলিম আদ্-দীন

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ২১:১৫, ৯ অক্টোবর ২০২০

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রধান শিক্ষক শিকড় আইডিয়াল স্কুল ১২২, মনেশ্বর রোড, ঝিগাতলা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৯১৪২০৪২৯৩ প্রিয় শিক্ষার্থীরা, ‘শিকড় একাডেমি’র পক্ষ থেকে তোমাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি, তোমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ভাল করেছ। আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় ভাল করার বা অ+ পাওয়ার জন্য করণীয় বিষয়সমূহ নিয়ে লিখছি। বহুনির্বাচনী অংশ : বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অ+ প্রাপ্তির জন্য তোমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ সংখ্যক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সঠিক করতে হবে। এর জন্য তোমাদের করণীয় হলো- বাংলা দ্বিতীয় পত্র বোর্ড বইটি ভাল করে রিভিশন করবে। অধ্যায়গুলোর ব্যাকরণিক উদাহরণগুলো ভাল করে লক্ষ্য করবে। ব্যাকরণিক অংশের উদাহরণগুলো বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই সর্বোচ্চ সংখ্যক নৈর্ব্যত্তিক সঠিক করতে বোর্ড বইয়ের বিকল্প নেই। ব্যাকরণিক অংশ বোর্ড বই থেকে আয়ত্ত এনে তোমাদের পরবর্তী করণীয় হলো নৈর্ব্যত্তিক অনুশীলন করা। এর জন্য তোমরা ‘পাঞ্জেরী টেস্ট পেপার’ সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করতে পার। সরকারি ও স্বনাধন্য স্কুলগুলোর নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন সমাধান করবে। আশা করি, এর মাধ্যমে তোমাদের নৈর্ব্যত্তিক অংশের প্রস্তুতি যথাযথ হবে। রচনামূলক অংশ : রচনামূলক অংশের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ হলো সঠিকভাবে প্রশ্নগুলো লেখার সঠিক ধরন, সময় বণ্টন, খাতায় প্রশ্ন উত্তরের যথাযথ উপস্থাপনা। এর জন্য কিছু করণীয় হলো Ñ অনুচ্ছেদ : অনুচ্ছেদেরে জন্য প্রদত্ত বিষয়ের বিশ্লেষণমূলক উত্তর হতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বর্জন করবে। এক্ষেত্রে মাত্র একটি প্যারাই করতে হবে। পত্র লিখন : পত্র লিখনের ক্ষেত্রে প্রশ্নে নাম-ঠিকানা উল্লেখ থাকলে সেটাই ব্যবহার করতে হবে অন্যথায় ক, খ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। পত্রের কাঠামোগত দিক অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে। সারাংশ ও সারমর্ম : উচ্চ নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সারাংশের জন্য উল্লিখিত প্রশ্নের হুবহু লাইন উল্লেখ না করে নিজের সৃজনশীলতার বহির্প্রকাশ ঘটাতে হবে। সারমর্মের ক্ষেত্রে মূলভাবটি গুছিয়ে কয়েক লাইনের মধ্যে কবিতার চরণগুলোর নির্যাস (মরংঃ) লিখতে হবে। উত্তর যত বড় হবে নম্বর প্রাপ্তির সম্ভাবনা তত কমবে। তাই মূল ভাবটি যথাযথভাবে উপস্থাপন বাঞ্ছনীয়। ভাব-সম্প্রসারণ : এক্ষেত্রে উত্তর করার সময় মনে রাখবে, আলোচ্য বিষয়টির মূলভাব যেন বিশ্লেষণমূলক ভাবে উপস্থাপিত হয়। এক্ষেত্রে পয়েন্টের নাম লিখা পরিহার করে ৩টি প্যারায় লিখতে হবে। প্রথম প্যারায় মূল ভাবটি অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা শ্রেয়। সম্প্রসারিত ভাবের মধ্যে যত বেশি ভাবের বিশ্লেষণ করতে পারবে, উত্তর তত মানসম্মত হবে। এর জন্য উত্তরে যৌক্তিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা থাকতে হবে। সর্বশেষ প্যারায়-উপরিউক্ত বর্ণনার প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত মন্তব্য পেশ করতে হবে। প্রতিবেদন : এক্ষেত্রে প্রতিবেদনের ধরন অনুযায়ী প্রতিবেদন লেখার নিয়ম অর্থাৎ কাঠামোগত দিক সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। নীল কালি ব্যবহার করে বিষয়/শিরোনামটি লিখলে ভাল হয়। প্রতিবেদনটির মধ্যে আলোচ্য শিরোনাম তথ্যবহুল, বিশ্লেষণাত্মক, বর্ণনামূলক ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করবে। অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিবেদনটি দীর্ঘায়িত করবে না। প্রবন্ধ রচনা : প্রবন্ধ রচনার জন্য তোমাদের সময় বণ্টন খুব গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরগুলো এমনভাবে লিখবে যাতে রচনার জন্য কমপক্ষে ১ ঘণ্টা সময় থাকে। রচনার নাম ও পয়েন্টগুলো নীল কালি দিয়ে লিখবে। রচনায় তোমরা কবিতার পঙ্ক্তি বা মনীষীদের উক্তি প্রদান করবে। এগুলো নীল কালি দিয়ে লিখলে খাতার উপস্থাপনা সুন্দর হয়। রচনার বিষয়টি সম্পর্কে তোমরা অধিক তথ্য, ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ লিখবে। যেহেতু প্রবন্ধ রচনায় বরাদ্দকৃত নম্বর হলো ২০- তা মাথায় রেখে সেই অনুপাতেই তোমাকে লিখতে হবে। পরিশেষে, উপসংহার অংশের জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে কমপক্ষে আধা পৃষ্ঠা বা এক পৃষ্ঠা লিখেবে। অনেকেই সময়ের অভাবে ঠিকমতো উপসংহার লিখে না বা বাদ দেয়, যা মোটেই মানসম্মত রচনার অনুঘটক নয়। শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করি উপর্যুক্ত করণীয়গুলো তোমাদের ভালোভাবে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে। তোমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা কামনা করছি। আশা করি, তোমরা সকলেই দুর্দান্ত প্রস্তুতি নিয়ে সাফল্য বয়ে আনতে পারবে। ‘শিকড় একাডেমি’র পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য রইল একরাশ শুভ কামনা।
×