ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সমন্বিত উন্নয়নের জন্য জনবান্ধব পুলিশিংয়ের কোনো বিকল্প নেই : পুলিশ মহাপরিদর্শক

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

সমন্বিত উন্নয়নের জন্য জনবান্ধব পুলিশিংয়ের কোনো বিকল্প নেই : পুলিশ মহাপরিদর্শক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গণমানুষের কল্যাণে নাগরিক সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো সদস্য যত বেশি ইতিবাচক কাজ করবেন তত বেশি পুরস্কার ও প্রণোদনা প্রদান করা হবে। তিনি জানান, সমন্বিত উন্নয়নের জন্য জনবান্ধব পুলিশিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেজন্যই আমরা পুলিশিং সেবাকে নাগরিকদের দোর গোড়ায় নিতে চাই। সোমবার রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কলটেকারদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গত ২৮ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রাক্কালে সুন্দরবনের নিখোঁজ হওয়া ৬ কিশোর উদ্ধারে অবদান রাখায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা পাওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল পপি আক্তার, বাগেরহাটের ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই আজিম উদ্দিন, নায়েক মোঃ মনিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মোঃ জামিল হোসেন, কনস্টেবল মোঃ জমিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মোঃ আবুল কালাম, কনস্টেবল মোঃ টুকু মিয়া, কনস্টেবল মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং স্থানীয় নাগরিক মোঃ ছগীর আকন, মোঃ মিলন ফরাজী, মুহাম্মদ সগীর হাওলাদার এবং সোহাগ হাওলাদার। অনুষ্ঠানে আইজিপির পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও প্রণোদনা প্রদান করা হয়। এই সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি ও ডিআইজিসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ। পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় সুন্দরবনে নিখোঁজ হওয়া ছয় কিশোরকে উদ্ধারে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছেন। এটি তারই প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি জানান, বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ আমাদের ত্বরান্বিত, গতিশীল ও সমন্বিত সেবা প্রদান করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নানা প্রান্তে নানাভাবে ইতিবাচক নাগরিক বান্ধব কাজ করে চলেছে। সেসব ভালো কাজ আমাদের দৃষ্টিতে আনতে হবে। যাতে আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তাদের প্রণোদনা দিতে ও পুরস্কৃত করতে পারি। বেনজীর আহমেদ জানান, সুন্দরবনে নিখোঁজ ছয় কিশোর উদ্ধারের মডেলটি স্থানীয় নাগরিক ও পুলিশের মেলবন্ধনের একটি দৃষ্টিনন্দন ও অনুকরণীয় উদাহরণ। পুলিশের সময়োপযোগী ও সমন্বিত উদ্যোগ না থাকলে হয়তো সম্ভাবনাময়ী ওই ছয় কিশোরের জীবন বিপন্ন হতে পারতো। ভালো কাজের কোনও শেষ নেই। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত অধিকতর ভালো কাজ করে যেতে হবে।
×