ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নোম্যান্সল্যান্ডে লাইন পাতা হলেই চালু হবে রেলপথ

প্রকাশিত: ২০:০৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

নোম্যান্সল্যান্ডে লাইন পাতা হলেই চালু হবে রেলপথ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর চিলাহাটির সঙ্গে ভারতের হলদিবাড়ির রেল যোগাযোগের পরিকাঠামো তৈরি হতে যতটুকু বাকি রয়েছে, তা শুধু নোম্যান্সল্যান্ডে এলাকায় রেললাইন পাতা। এই অংশে ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের রেল যৌথভাবে কাজ করবে। সেখানে লাইন পাতা হলেই জুড়ে যাবে দুদেশের রেলপথ। চিলাহাটি দিয়ে ট্রেন ভারতে ঢুকে প্রথমেই হলদিবাড়ি স্টেশন। তার পরে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি শিলিগুড়ি) যাবে ওই ট্রেন। উভয়দিকে রেললাইন পাতাসহ অন্যান্য অবকাঠামো এখন তৈরি। সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম জানান আমরা আশা করছি, চলতি বছর ডিসেম্বরের আগেই নোম্যান্সল্যান্ডে লাইন পাতা সম্পন্ন হবে। চলতি বছর ১৬ ডিসেম্বরে এটি উদ্বোধন করা যায় কিনা। সম্ভব না হলে আগামী বছর ২৬ মার্চ এই লাইনের উদ্বোধন হবেই। এসব তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করেছেন, তারই ফলে এ রেলপথ পুনরায় চালুর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি বছর জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ। তিনি বলেন, অবিভক্ত ভারতের রেল যোগাযোগের এটিই প্রধান পথ ছিল। দেশ ভাগ হওয়ার পরও ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এটি চালু ছিল। কলকাতা থেকে এ পথে ট্রেন চলাচল করত। সেই রেল যোগাযোগ ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। রেল সূত্রের খবর, এই লাইনে দুই দেশের মধ্যে প্রথমে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত শুরু করবে। এই পথে সরাসরি কলকাতার সঙ্গেও ট্রেন চলাচল সম্ভব। যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে বলে রেল কর্তাদের দাবি। রেলের সূত্র মতে, একবার রেল চলাচল শুরু হয়ে গেলে অনেক পদক্ষেপই করা হতে পারে। উল্লেখ, গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে এ প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন রেলমন্ত্রী। চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইনসহ বাংলাদেশ অংশে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।
×