ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে রুমি

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে রুমি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন অপবাদ ও মিথ্যাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতারকৃত হুমায়রা আফরিন রুমির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়েরকৃত আইসিটি আইনের মামলায় দুদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রুমির চাঁদাবাজি, প্রতারণা, ফেসবুকে অপপ্রচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারীরা। এদিকে রুমির জুলুম অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হওয়া বেশ কজন ভুক্তভোগী থানায় গিয়ে তাদের করুণ কাহিনী তুলে ধরেন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে তোলার নেপথ্যেও রুমির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুিলশ। পুলিশ এসব অভিযোগও খতিয়ে দেখছে। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে। জানা গেছে, ফেসবুক মেসেঞ্জারে তেজগাঁও শিল্প এলাকা থানা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রোকেয়া সুলতানা পলির বিরুদ্ধে চারিত্রিক অপবাদ, মিথ্যা তথ্য প্রচার ও মানহানিকর কাহিনী প্রচার করার মতো অপকর্মে জড়িত হয় হুমায়রা আফরিন রুমি। ২৩৬/১ পূর্ব নাখালপাড়ার বাসিন্দা এ্যাডভোকেট রোকেয়া সুলতানা পলি তখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এ ঘটনার নেপথ্য হোতাদের সন্ধানে নামেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তিনি নিশ্চিত হন, একই এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী হুমায়রা আফরিন রুমি নিজের মোবাইল ফোন থেকেই মেসেঞ্জারে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও মানহানিকর কাজে লিপ্ত রয়েছেন। এ ঘটনায় মাহবুব আলম রতন নামে এক বাসিন্দা প্রাথমিকভাবে স্থানীয় কমিশনারের উপস্থিতিতে এক সালিশে রুমিকে দায়ী করে বলেন, তিনিই এ কাজ করেছেন। এরপরই পলি বাদী হয়ে শিল্পাঞ্চল থানায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর আইসিটি এ্যাক্টে মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ রুমিকে গ্রেফতার করে দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অন্যদিকে আদালতে রুমির বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে সব স্বীকার করায় রতনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রুমি এক সময় তেজগাঁও এলাকায় বিএনপির ক্যাডার সুমনের সঙ্গে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ২০০৮ সালে তিনি স্থানীয় যুব মহিলা লীগে যোগ দিয়েই একের পর এক বিতকির্ত কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বেশকজন প্রভাবশালী রাজনীতিকের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এ অবস্থায় গত বছর ক্যাসিনো কা-ে যুব মহিলা লীগের পাপিয়াকে গ্রেফতারের পর আবারও আলোচনায় আসেন রুমি। এরপরই তার মিথ্যাচারের শিকার হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী রোকেয়া সুলতানা পলি। এ বিষয়ে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, মেসেঞ্জারের মাধ্যমে রুমি যে এত জঘন্য ও কুৎসিত অপকর্ম করতে পারে তা বিশ্বাসযোগ্য ছিলনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে ধরার পর তারই অপর সহযোগী মাহবুব রতন আদালতে জবানবন্দী দিয়ে জেলহাজতে গেছেন। আর দুই দিনের রিমান্ডে আছেন রুমি। পাপিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর রুমিও কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সে ঘটনা ধামাচাপা পড়ায় তিনি আবার মহল্লøায় ফিরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
×