সংবাদদাতা, মঠবাড়িয়া, ৬ সেপ্টেম্বর ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শ্বশুর ও শাশুড়ি কর্তৃক প্রবাসী পুত্রের স্ত্রী তানজিলা বেগম (২৬) এর ওপর অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। উপজেলার মানিকখালী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ তানজিলার বাবা মোঃ সিদ্দিক মীর বাদী হয়ে শনিবার রাতে মেয়ের শ্বশুর ধলু মুন্সী, শাশুড়ি আলেয়া বেগম ও চাচা শ্বশুর নুর মোহাম্মদ মুন্সী এ তিনজনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ রাতেই নির্যাতিতা গৃহবধূর শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে এবং আজ রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। জানা গেছে, উপজেলার মানিকখালী গ্রামের ধলু মুন্সীর ছেলে সৌদি প্রবাসী নাসির মুন্সীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মীরের মেয়ে তানজিলার বিয়ে হয়। পুত্রবধূর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর-শাশুড়ির ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুরগিকে খাবার দেয়া নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে তানজিলার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শ্বশুর তার পুত্রবধূকে টানা হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে প্রকাশ্যে মারধর করেন। এ সময় শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরও তাকে মারধর করেন। তানজিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত চারদিন ধরে দুই সন্তানের জননী তানজিলাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে মারধরের এই ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী কেউ একজন মুঠোফোনে ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এ ঘটনার পর থেকে তানজিলার শ্বশুর পলাতক রয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফেরদৌস ইসলাম বলেন, তানজিলা বেগমের শরীরে জখমের চিহ্ন আছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: