ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বার্ন ইনস্টিটিউটে স্বজনের আহাজারি

দুই সোনার টুকরা আমাকে ছেড়ে চলে গেলি...এখন কি নিয়ে বাঁচব

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

দুই সোনার টুকরা আমাকে ছেড়ে চলে গেলি...এখন কি নিয়ে বাঁচব

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে জুবায়ের (১৮), সাব্বিরকে (২১) হারিয়ে পারুল বিবি এখন পাগলপ্রায়। বার বার বিলাপ করে মূর্ছা যাচ্ছেন। বিলাপ করছেন আর ছেলেদের স্মৃতিচারণ করছেন। ছেলে হারা এই মায়ের আর্তনাদে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। পারুল বিবির মতো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় কারও সন্তান, কারও বাবা, কারও ভাই হারিয়ে স্বজনরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরছে কাঁদছেন। স্বজনের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। শুক্রবার রাত থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ স্বজনদের ভিড়। প্রিয়জনের খবর শুনতে স্বজনদের অপেক্ষা। এর মধ্যে কারও মৃত্যুর খবর এসেছে। কারও কোন খোঁজ এখনও মেলেনি। অনেকে মারা যাওয়ায় স্বজনরা বিলাপ করছেন। আবার দগ্ধ রোগীকে দেখে আহাজারি করতে করতে হাসপাতালের ভেতর থেকে কিছুক্ষণ পর পরই বাইরে বের হচ্ছেন স্বজনরা। হাসপাতালে অপেক্ষমাণ কক্ষে চেয়ারে বসে চোখের পানি মুছতে দেখা যায় স্বজনদের। হাসপাতালের বেডে কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করছেন দগ্ধরা। বিস্ফোরণে দুই ছেলেকে হারিয়ে পারুল বিবি বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। আমার দুই সোনার টুকরা এভাবে আমাকে ছেড়ে চলে গেলি, আমার জানে পানি নাই। আল্লাহ আমার জানটাও তুমি নিয়ে নাও, আমি আর থাকতে পারছি না। আমরা বিকেলেও একসঙ্গে কোরান শরীফ পড়েছি। আমার কলিজারা কোথায় গেলি। এসব বলতে বলতে হাসপাতালের এদিকসেদিক ঘোরাঘুরি করছেন আর আর্তনাদে মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। এই সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে পারুল বিবি বলছিলেন, বাড়িতে বাড়িতে মানুষকে আরবী পড়িয়ে ছেলেদের বড় করেছি। অনেক কষ্ট করে দুই ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব। একটু পর পর বিড় বিড় করে প্রলাপ করছিলেন তিনি। এ সময় স্বজনরা পারুল বিবিকে সান্ত¦না দিতে ব্যর্থ হন। সবার চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছিল। স্বজনরা জানান, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় তিন ছেলেকে নিয়ে থাকেন পারুল বিবি। তার স্বামী নুরুল উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে পিয়নের চাকরি করে। সে অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে আরেকটা বিয়ে করে। বিলাপ করে পারুল বিবি জানান, আমার তিন ছেলেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলেও একসঙ্গে কোরান শরীফ পড়েছি। আছরের নামাজ শেষ করে তারা বাসায় এসেছে। পরে আবার এশার নামাজ পড়তে ওই মসজিদে যায় তিন ছেলে। এসি বিস্ফোরণে ছোট ছেলে ইয়াসিন কোনমতে বেরিয়ে যেতে পারলেও প্রাণ হারিয়েছেন বাকি দুই ছেলে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে পারুল বিবি বলেন, মাসে সাড়ে আট হাজার টাকা বেতন পাই। এ টাকা দিয়ে কষ্ট করে ছেলেদের পড়ালেখা করাইছি। আমার দুই ছেলে মরে গেছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব? আল্লাহ নিজ হাতে ছোট ছেলেটারে বাঁচাইছে। তিনি জানান, ছেলেরা দগ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঢাকার এই হাসপাতালে ছুটে আসি। ছেলেদের কাছে যেতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি আমি। এখন আমার কলিজার টুকরা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার কলিজারা কোথায় গেলি, আমার কলিজারা কোথায় গেলি বলে চিৎকার করছিলেন তিনি। পারুলের তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় সাব্বির নারায়ণগঞ্জ কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করত। আর জুবায়ের পড়ত নারায়ণগঞ্জের তুলারাম কলেজে ২য় বর্ষে। আর সবার ছোট ইয়াসিন (৯)। প্রতিদিনের ন্যায় বাবা জুলহাসের সঙ্গে নামাজ পড়তে গিয়েছিল সাত বছরের স্কুল পড়ুয়া জুবায়ের। এসি বিস্ফোরণে বাবা-ছেলে মারাত্মক দগ্ধ হয়। গভীররাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবায়ের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। একদিকে একমাত্র ছেলে জুবায়ের চলে গেছে না-ফেরার দেশে। আর স্বামী জুলহাস মারাত্মক দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। সব হারিয়ে রাইমা আক্তার শোকে পাথর হয়ে গেছেন। স্বজনদের কান্নাও থামছে না। একমাত্র ছেলে জুবায়েরকে হারিয়ে রাইমা বার বার বিলাপ করে বলছিল, কালকেও আমার ছেলেটা (জুলহাস) কত দুষ্টুমি করল আমার সঙ্গে! অথচ এখন আর কেউ আমারে মা বলে ডাকবে না রে বাজান, কেউ আর ডাকবে না মা বলে! একমাত্র ছেলে জুবায়েরকে হারিয়ে রাইমার কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। তাকে ঘিরে আছে তার আত্মীয়-স্বজনরা। স্বজনরা জানান, জুলহাস তার মা রাইমা আক্তার গার্মেন্টকর্মী। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরে মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়তেন তিনি। তার সাত বছরের শিশুসন্তান জুবায়েরও প্রতিদিন মসজিদে যেত। কিন্তু শুক্রবার এশার নামাজ পড়তে যেতে চায়নি শিশু জুবায়ের। মা রাইমা খাতুন জোর করে তাকে পাঠিয়েছেন। ছোট থেকেই নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন শিশু সন্তানকে। ওই মসজিদের এসি বিস্ফোরণে ছেলে জুবায়ের ও স্বামী জুলহাসের দগ্ধ হওয়ার খবর পান। রাতেই ছুটে আসে হাসপাতালে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জুবায়েরের মা জানান, রাতে হাসপাতালে আমার ছেলের সঙ্গে শুধু একটুখানিকই কথা হলো। আমাকে বলল, আম্মু পানি খাব। আমি পানিও খাওয়ালাম। এর পর ডাক্তাররা ওখানে থাকতে না দিলে আমি নিচে চলে আসি। রাত ১টার দিকে একজন এসে বলল, আপনা ছেলে আর নেই। আমারে এখন কে মা বলে ডাকবে, কে দুষ্টুমি করবে আমার সঙ্গে! এই বলে বার বার বিলাপ করে বলছিল, একমাত্র ছেলে জুবায়েরকে হারালাম। ওর বাবার অবস্থাও ভাল না। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব? নিহত শিশু জুবায়েরের চাচা নাহিদ হাসান শাকিল জানান, জুবায়েরের বাবা জুলহাজ ও মা রাইমা আক্তার দুজনই গার্মেন্টকর্মী। পশ্চিম তল্লা মসজিদের পাশেই একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। জুলহাস মিয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সন্ধ্যায় গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফিরে মাগরিব ও এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়েন। সঙ্গে নিয়ে যেতেন একমাত্র সন্তান জুবায়েরকে। শাকিল বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজসহ অন্য ওয়াক্তের নামাজও বাবার সঙ্গে মসজিদে গিয়ে পড়েছে জুবায়ের। কিন্তু এশার নামাজের সময় সে যেতে চায়নি। হয়ত তার শিশুমনে কোন অঘটন ঘটতে পারে বলে আগেই জানান দিয়েছিল। মা রাইমা সন্তানকে বুঝিয়ে মসজিদে পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর ঘর থেকেই সে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিল। তিনি জানান, জুবায়েরের বাবা জুলহাজের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। শরীরের প্রায় পুরো অংশ ঝলসে গেছে। কথা বলতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া সন্তান রিফাতের ওপরই সচ্ছল ভবিষ্যতের স্বপ্ন ছিল রিক্সাচালক আনোয়ারের। এক এসি বিস্ফোরণে তার সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল। অঝোরধারায় কাঁদতে কাঁদতে আনোয়ার বলেন, আমার ছেলে মরে গেছে। কত কষ্ট করে বড় করছি। এখন আমার আর বেঁচে থেকে কি লাভ? আনোয়ারের মতো বিস্ফোরণে প্রাণ হারান নয়ন (২৬)। ছেলে নয়নের দগ্ধ সংবাদ পেয়ে রাতেই লালমনিরহাট থেকে ছুটে আসেন বুলবুলি বেগম। ছেলে নয়নকে হারিয়ে হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে আহাজারি করছিলেন বুলবুলি বেগম, আমার নয়নকে একটু দেখাও। আমি আমার প্রাণের টুকরাকে দেখতে চাই। এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে এশার নামাজের আগে নয়ন ফোন দেয়। বলে, মা আপনি ভাত খেয়ে ঘুমান। আমি মসজিদে গেলাম। এর কয়েক ঘণ্টা পর নয়নের বন্ধু ফোন দিয়ে জানায় মসজিদে বিস্ফোরণে নয়ন দগ্ধ হয়েছেন। রাতেই লালমনিরহাট থেকে রওনা দিয়ে সন্তানের খোঁজে ঢাকায় আসেন। তবে সন্তানের দেখা পাননি। নয়নের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার তালুক পলাশী গ্রামে। তার বাবা মেহের আলী। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে নয়ন সবার বড়। পরিবারসহ নয়ন নারায়ণগঞ্জ ছিলেন। জানুয়ারিতে তার বাবা-মা ও ভাই-বোন গ্রামে চলে যায়। এরপর থেকে নয়ন একাই নারায়ণগঞ্জ ছিলেন। একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। মা বুলবুলি জানান, আমার ছেলের আয়েই সংসার চলত। আর কিছু নাই, অন্য সন্তানরা ছোট ছোট। এখন কি নিয়ে বাঁচব। সন্তানদের কি খাওয়াব। ছেলে মোস্তফা কামালের (৩৪) লাশের অপেক্ষায় বাবা ৭৫ বছরের করিম মিজি। নারায়ণগঞ্জের সেই মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যায় মোস্তফা। বৃদ্ধ করিম মিজি বলেন, নিহতদের লিস্টে আমার ছেলের নাম আছে, ডাক্তাররা আমাকে বলছে। টেলিভিশনের সংবাদে বড় ছেলে মোস্তফার মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনি চাঁদপুর সদর জজকোর্ট এলাকা থেকে সকালে ছুটে আসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। বৃদ্ধ করিম মিজি বলেন, আমার তিন ছেলে। মোস্তফা সবার বড়। লকডাউনের কারণে সে দেশে ছিল। এক মাস হয়েছে সে নারায়ণগঞ্জে এসেছে। যে মসজিদে বিস্ফোরণ হয়েছে তার মেসে থাকতেন মোস্তফা। সদ্য বিবাহিত মোস্তফা নারায়ণগঞ্জে টিউশনি করতেন। ছেলের মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধ করিম মিজি। তিনি বলেন, তার তিন ছেলের মধ্যে মোস্তফা কামাল সবার বড়। লকডাউনের পুরো সময়টা মোস্তফা বাড়িতেই ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি ঢাকায় আসছেন। আমার ছেলের লাশটা আমাকে দেখাও। এসি বিস্ফোরণে নারায়ণগঞ্জে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহীম (৫০) মারা যান। ঘটনার সময় শুক্রবার এশার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তার বড় ছেলে ফয়সাল। ছেলে ফয়সাল নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হয়ে একশ’ গজ দূরে যান। এর মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। হঠাৎ তার বাবার কথা মনে পড়ে। দৌড়ে মসজিদের সামনে যান। ফয়সাল জানান, মসজিদের সামনে গিয়ে দেখলাম থাইগ্লাস ভেঙ্গে আগুনের গোলা বের হচ্ছে। আগুনের গোলার সঙ্গে মানুষও বের হয়ে আসছে। দু’বার আগুনের গোলা বের হয়েছে। এরপর দেখি বাবাও রাস্তায় পড়ে আছে। দাড়ি, চুল, কাপড় সব পুড়ে গেছে, কিছু নেই। দ্রুত তাকে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকায় নিয়ে আসি। তিনি বলেন, মসজিদের প্রধান ফটকের টাইলসের নিচেই গ্যাসের লিকেজ ছিল। আমরা সেজদা দিলেও ঘ্রাণ পেতাম। কয়েকবার অভিযোগ করা হয়েছে, তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ পাত্তা দেয়নি। আর আরেক পোশাক শ্রমিক মোঃ কেনান। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। কেনানও বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে। তার ছোট ভাই মোঃ ইমরান বলেন, আমার ভাই গার্মেন্টসে চাকরি করে। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমি বাসা থেকে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি রাস্তার ওপর সবাই ছটফট করছে। কেউ কেউ রাস্তায় জমে থাকা পানিতে গড়াগড়ি করছিল। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। এরপর আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে সবাইকে একে একে হাসপাতালে নেয়া হয়। ইমরান বলেন, শুক্রবার রাত থেকে হাসপাতালের নিচেই আছি। কিন্তু ভাইকে এখনও দেখতে পারিনি। হাসপাতালে অপেক্ষমাণ কক্ষে চেয়ারে বসে চোখের পানি মুছতে দেখা যায় মনির হোসেন নামে এক দগ্ধের স্বজনকে। শুক্রবার রাতে তার ছোট দুই বোনজামাই ওই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। মনির হোসেন বলেন, ছোট দুই বোনজামাই আমজাদ ও ইমাম হোসেনের বাসা ওই মসজিদের পাশেই। শুক্রবার রাতে একই সঙ্গে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যান তিনিও। নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার দুই বোনজামাই আমজাদ ও ইমাম দগ্ধ শরীর নিয়ে দৌড়ে বাসায় আসেন। এরপর তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্স করে রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর এখনও তাদের দেখতে পাইনি। তাদের কি অবস্থা তাও জানি না। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
×