ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫

প্রকাশিত: ২৩:০০, ৩০ আগস্ট ২০২০

দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২১৩১ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৪২০৬ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৮ হাজার ৯২৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২০২৭ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৬৮৯টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং শনাক্তর হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৬ শতাংশ। শনিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন , ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১৮ জন রয়েছেন। তাদের বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে ৯ জন, খুলনায় ১ জন, বরিশালে ৫ জন, সিলেটে ৩ জন এবং রংপুরে বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৫৬৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৩৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৮০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭০ হাজার ৪৩০ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ১১৬০ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ১৪০৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৪৪ জন। ২৯ আগস্ট পর্যন্ত মোট মৃত্যুর শতকরা হারে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, যা শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, যা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১০০ জন, যা দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৫৭ জন, যা ছয় দশমিক ১১ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫৬৬ জন, যা ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১৫৬ জন, যা ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ২০৭২ জন; যা ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যার সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৪৩টি, রোগী ভর্তি রয়েছে ৩৭৯৮ জন এবং খালি শয্যার সংখ্যা ১১ হাজার ৪৫টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে মোট সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৬৬২৫টি, রোগী ভর্তি রয়েছে ২১২৯ জন এবং খালি শয্যার সংখ্যা ৪৪৯৬টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে মোট শয্যার সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত ১৪৯টি এবং খালি শয্যার সংখ্যা ৬৩৩ টি। আর দেশের অন্য হাসপাতালে মোট সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৪৩৬টি, ভর্তিকৃত ১৫২০টি এবং খালি শয্যার সংখ্যা ৫৯১৬টি। আর সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৫৫০টি, ভর্তিকৃত ৩২০টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২৩০টি। এর মধ্যে আর ঢাকা মহানগরীতে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩১০টি, ভর্তিকৃত ১৯৪টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১১৬টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯টি, ভর্তিকৃত ২৭টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১২টি। আর দেশের অন্যান্য হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২০১টি, ভর্তিকৃত ৯৯টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১০২টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৯ আগস্ট পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০৩০ জন, যা মোট মৃতের ৪৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯২০ জন, যা মোট মৃতের ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ২৭৯ জন, যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩৪৮ জন, যা মোট মৃতের ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১৯১ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৮৪ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৯ জন, যা মোট মৃতের ২ দশমিক ১২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দরসমূহে ২৯৫৮ জন, স্থলবন্দরসমূহে ২২০ জন এবং সমুদ্রবন্দরসমূহে বিদেশ হতে আগত ১৭৭ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইন নম্বর স্বাস্থ্য বাতায়নে ৮২৪৯টি, ৩৩৩ নম্বরে ৪৩ হাজার ৭০৩টি এবং আইইডিসিআর’র নম্বরে ২৯২টি অর্থাৎ মোট ৫২ হাজার ২৪৪টি কল এসেছে।
×