ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে কমছে পানি, জেগে উঠছে ক্ষতচিহ্ন

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ১৩ আগস্ট ২০২০

সিরাজগঞ্জে কমছে পানি, জেগে উঠছে ক্ষতচিহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেগে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। নদীপাড়ের অভ্যন্তরীণ সড়কসহ চারদিকে ভাঙ্গনের চিহ্ন। কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বৃহত্তর চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা বিলের আগ্রাসী রূপে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। এই বিলে পানি যখন নেমে যায় চারদিকে শুধুই ক্ষতচিহ্ন জেগে ওঠে। উথালপাতাল ঢেউ বাড়ি-ঘরে আছড়ে পড়ে আতঙ্কের সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়িতে ক্ষতচিহ্ন রেখে যায়। চলাচলের পথগুলো অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলায় দুর্দশায় পথ চলতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর হতে উধুনিয়া হয়ে ভাঙ্গুড়া যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা। এই সড়কে দুর্ভোগ-দুর্দশার মধ্যে বন্যা পরবর্তী সময়গুলোতে পথ চলতে নাকানিচুবানি খেতে হয়। বন্যা পূর্ববর্তী সময়ে কিছুটা সংস্কারের মাধ্যমে চলাচল যোগ্য করা হলেও এবারের বন্যায় এই সড়ক পথটি ধ্বংসের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। যেটুকু পানি কমেছে তাতে উক্ত সড়কটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ার আলামত দেখা যাচ্ছে। পুরো সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হেঁটে চলাচলও দুরূহ হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লাপাড়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের জনগণ নিয়মিত এই সড়কপথে চলাচল করে থাকে। এবারের বন্যায় ঢেউয়ের আঘাতে সড়ক পথটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই তানভীর ইমাম এমপি বন্যা পরবর্তীতে দ্রুত সড়ক পথটি চলাচল যোগ্য করার জন্য সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আশার কথা তানভীর ইমাম এমপি’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাসেল উল্লাহ খান সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। পানি নেমে গেলে সড়কটি মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এদিকে কাজীপুরসহ সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলের কাঁচা সড়কগুলোর বেশিরভাগ পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে। অনেকের বাড়ি-ঘরও পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়েছে।
×