ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর গুলশানে অভিনব কায়দায় প্রতারনা

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৬ জুলাই ২০২০

রাজধানীর গুলশানে অভিনব কায়দায় প্রতারনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুসজ্জিত অফিস আর সুন্দুরী নারী দিয়ে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে খোলা একটি কোম্পানীর প্রতারণার খপ্পড়ে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। তিনি নদী খনন ও ড্রেজিং ব্যবসায়ী হিসেবে সরকারী তালিকাভূক্ত ঠিকাদার। নদী খননের জন্য ড্রেজার কিনতে গিয়েই প্রতারণার খপ্পড়ে পড়েন তিনি। প্রতারক চক্রটি প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। এখন টেলিফোনে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। প্রতারক চক্রটি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরে বসে এমন প্রতারণা করে যাচ্ছে। আজ রবিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ফার্স্ট এসএস এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক আবু সাদেক। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তিনি ২০০৩ সাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে ঠিকাদারি ও ড্রেজিংয়ের কাজ করেন। নদী খননের জন্য একটি ড্রেজিং মেশিন আমদানী করতে গিয়ে একটি কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। তানিম ও ফাহমিদা নামের দুই জন পুরো প্রক্রিয়াটি করেন। চুক্তি মোতাবেক ড্রেজারের মূল্যের ১০ শতাংশ ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আগে কোম্পানীর নামে যৌথ একাউন্টে জমা দেন। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকি। ড্রেজারও আর আসে না। তাদের আর দেখাও মেলে না। পরে দেখা যায়, তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলে ফাহমিদা নিজেকে সাবেক ডিআইজির মেয়ে পরিচয়ে হুমকি দিতে থাকে। যদিও যে ডিআইজির মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছে, সেই ডিআইজির কোন অস্তিত্ব মেলেনি। শেষ পর্যন্ত আমি জীবনের নিরাপত্তার জন্য গত ১০ জুন গুলশান থানায় মামলা করি। শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারি, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এমন প্রতারণার ঘটনায় আমি নিঃস্ব। প্রতারকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
×