ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উরুমকিতে জরুরী অবস্থা

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২০ জুলাই ২০২০

উরুমকিতে জরুরী অবস্থা

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ফের করোনা হানা দিয়েছে। ফলে প্রদেশটির রাজধানী উরুমকিতে শনিবার থেকে যুদ্ধকালীন জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। ওই দিন শহরটিতে মাত্র ১৭ করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার পর শি জিনপিং সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি শনিবার কর্মকর্তারা সেখানকার মানুষের চলাচলে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। গত বছর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও পিপলস টাইমস অনলাইনের। সংক্রমণ বা মৃত্যুর তালিকায় প্রথম ২০ দেশ বা অঞ্চলের মধ্যেও চীনের নাম নেই। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী চীনে ৮৫ হাজারের কিছু বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৪,৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চীনের স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং এলাকার মোট বাসিন্দা প্রায় ৩৫ লাখ। কয়েক মাস পর গত বুধবার থেকে সর্বশেষ সংক্রমণগুলো শনাক্ত শুরু হয়। এরপরেই ওই শহর থেকে সকল বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। শহরটির সাবওয়ে চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে। উরুমকির এক পৌর কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুরো শহরটিতে এখন থেকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি থাকবে এবং দলগত সব ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। যেসব বাড়িতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ব্যাপকভাবে স্ক্রীনিং করা, যা পরবর্তীতে পুরো শহর জুড়ে চলবে। একজনের বাড়ি থেকে আরেকজনে বাড়িতে যাতায়াত চলবে না, দলবদ্ধভাবে কিছু করা যাবে না। অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ শহরের বাইরে বের হতে পারবে না। কেউ বের হতে চাইলে তার প্রয়োজনের বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে। চীনে করোনাভাইরাসের বেশিরভাগ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উহান শহরে গত বছরের শেষে। এদিকে বিশ্বে আরও ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ১০০ ঘণ্টাতেই শনাক্ত নতুন ১০ লাখ রোগী ফলে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় যে রেকর্ড শুক্রবার হয়েছিল, শনিবারের সংখ্যা তাকেও ডিঙিয়ে গেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর গত সাড়ে সাত মাসে এই প্রথম এক দিনে আড়াই লাখের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হলো। শনিবার সবচেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। শনিবার এক দিনেই বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩৬০ জনের, যা ১০ মের পর সবচেয়ে বেশি। জনস হপকিন্স বিশ্বাবদ্যালয়ের টালিতে শনিবার বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৬ লাখ। অবশ্য অনেক দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে নতুন এ ভাইরাসের আবির্ভাবের পর বিশ্বজুড়ে প্রথম ১০ লাখ রোগী পেতে সময় লেগেছিল তিন মাস। সংক্রমণের বিস্তৃতি ও শনাক্তকরণ পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ায় এরপর প্রতি ১০ লাখ শনাক্তে সময় ক্রমাগত কমতে থাকে। গত সপ্তাহের সোমবার রোগীর সংখ্যা টপকায় এক কোটি ৩০ লাখ। তার মাত্র ১০০ ঘণ্টার ব্যবধানেই যুক্ত হয় আরও ১০ লাখ।
×