ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বদলি কোন শাস্তি নয়, অনিয়ম পেলেই বরখাস্ত ॥ মন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ১৩ জুলাই ২০২০

বদলি কোন শাস্তি নয়, অনিয়ম পেলেই বরখাস্ত ॥ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলি নয় বরখাস্ত বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। একইসঙ্গে সব প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রবিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগ এবং দফতরের বাস্তবায়নাধীন ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী পর্যালোচনায় নিয়ে অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন এলজিইডি, ডিপিএইচই, সকল ওয়াসা, সকল সিটি কর্পোরেশন, এনআইএলজি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বদলি কোন শাস্তি নয়, অনিয়ম করলে তা প্রমাণ পেলে বরখাস্ত অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই মানসম্পন্ন, টেকসই ও উৎপাদনশীল হতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিম্নমানের কাজে জড়িত থাকবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। মন্ত্রী বলেন, মন্দ কাজের জন্য যেমন তিরস্কার বা বরখাস্তের ব্যবস্থা থাকবে তেমনি ভাল কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পুরস্কৃতও করা হবে। করোনা সঙ্কটে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রভাব পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রকোপে এ বছর প্রকল্পের অগ্রগতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব। সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫৬ বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জুন পর্যন্ত অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৪৯ ভাগ। যা গত বছর ছিল ৯৫ দশমিক ৪২ ভাগ। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রকল্প কাজের মৌসুম হলেও করোনা মহামারীর কারণে কাজ বন্ধ থাকায় এ বছর কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালক, প্রকৌশলীরা যদি কোন বাধা বা হুমকির সম্মুখীন হন তাহলে তাদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নেবে বলেও জানান তিনি। গ্রামীণ সড়ক, ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক এবং উপজেলা সড়ক নির্মাণে স্ট্রাকচারাল ডিজাইনসহ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন তৈরি করে সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি।
×