ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিভোর্সের পর স্ত্রীকে আবার বিয়ে করেও হত্যা করল স্বামী

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ৮ জুলাই ২০২০

ডিভোর্সের পর স্ত্রীকে আবার বিয়ে করেও হত্যা করল স্বামী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে ঢাকার আশুলিয়ার একটি পুকুর থেকে প্রায় অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধারকৃত নারীর পরিচয় মিলেছে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত খুনী গ্রেফতার হয়েছে। হত্যা রহস্যের জট খুলেছে। পারিবারিক কলহের জেরে ডিভোর্স দেয়ার পর মাত্র এক মাসের মাথায় আবারও বিয়ে হয় ওই নারীর। এরপর আবারও পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় স্বামী। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুন আশুলিয়ার হাবুডাঙ্গা ফুজি গার্মেন্টসের কাছের একটি পুকুর থেকে এক নারীর প্রায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়। পরে লাশটি রেবেকা বেগম (২৮) নামের এক নারীর বলে শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব মামলাটির ছায়াতদন্ত করছিল। তদন্তে খুনী চিহ্নিত হয়। গত ৬ জুলাই রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল জামালপুর জেলার ইসলামপুর পৌরসভার আগলা গ্রাম থেকে খুনী মফিজুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করে। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, এক সঙ্গে গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে মফিজুল ও রেবেকার পরিচয় হয়। পরে ২০০৬ সালে তারা বিয়ে করে। পাঁচ বছর সংসার করার পর পারিবারিক কলহের জেরে রেবেকাকে ডিভোর্স দেয় মফিজুল। নিহত হওয়ার মাস ছয়েক আগে যোগাযোগের সূত্রে গত ৬ জুন আবারও মফিজুল রেবেকাকে বিয়ে করে। মফিজুল গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে হকারি করতে থাকে। তবে তার স্ত্রী গার্মেন্টসেই চাকরি করত। তাদের সংসারে এক কন্যা আছে। মফিজুল মিরপুর এলাকায় আর রেবেকা আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকত। বিয়ের পর মফিজুল মাঝে মধ্যে রেবেকার বাসায় থাকত। রেবেকা প্রায়ই একসঙ্গে বসবাসের জন্য বলত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাগ্বিতণ্ডা হতো। গত ২৭ জুন রাতে রেবেকা মফিজুলকে ফোন করে তার মিরপুরের বাসায় যায়। বাসায় যাওয়ার পর তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই দিন রাতেই কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে স্ত্রী রেবেকাকে নিয়ে আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় মফিজুল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়ার ফুজি গার্মেন্টসের পেছনে আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মফিজুল রেবেকাকে গলা টিপে হত্যা করে।
×