ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত: ২২:০৩, ২ জুলাই ২০২০

নওগাঁয় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১ জুলাই ॥ নিয়ামতপুরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৬টায় উপজলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধানসা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, বুধবার সকাল ৬টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভার মুরাদপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিন টুনী (২০) তার স্ত্রী নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধানসা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের কন্যা জেবা খাতুনকে (১৮) কাঁচি দিয়ে গলা কাটে। আহত অবস্থায় জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ৬টায় সে মারা যায়। জেবা খাতুনের বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার মেয়ে জেবার প্রায় এক বছর আগে চাঁপাইনবাবঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুরের আজিজুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। ভালই চলছিল মেয়ে-জামাইয়ের সংসার। হঠাৎ গত সোমবার আমার মেয়ে-জামাই আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার রাতে সামান্য কথা কাটাকাটিতে জামাই রাতেই বাড়িতে চলে যেতে চাইলে আমরা বুঝিয়ে রাখি। মেয়ে-জামাই রাতে একই ঘরে থাকে। বুধবার সকাল ৬টায় আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ির বাইরে গরু ছাগল বের করে বসে ছিলাম। মেয়ে-জামাই বাড়ি চলে যাবে বলে আমি আমার স্ত্রীকে নাস্তা বানানোর জন্য বললে আমার স্ত্রী ঘরে চলে যায়। হঠাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দরজার শব্দ পেয়ে আমিও ছুটে যাই। আমিও দরজা খুলতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। শেষে আমার চাচাত ভাই এসে লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখি ঘাতক জামাই সালাউদ্দিন আমার মেয়ের বুকের ওপর উঠে বড় কাঁচি দিয়ে গলা কেটেছে। গালে কপালে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেছে। সে উন্মাদের মতো বলছে আমি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি। আমাকে যা ইচ্ছে করেন। আমরা অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সকাল সাড়ে ৬টায় জেবা মারা যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরসহ দুই স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, পৃথক ঘটনায় দুজন খুন হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার মজলিশপুর ও পৌর শহরের বাণিক পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের শিশু মিয়া (৬০) ও শহর কান্দিপাড়া এলাকার শুভ (১৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়, রাতে মজলিশপুর ইউপির আনন্দপুর গ্রামে বাড়ির রাস্তার মাটি কাটা নিয়ে মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে শিশু মিয়ার সঙ্গে তার প্রতিপক্ষ রতন, উজ্জল ও শফিক মিয়ার তর্ক হয়। এ সময় রতনের লোকজন মাটি কেটে নিয়ে গেলে শিশু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। পরে রতনের লোকজন শিশু মিয়া ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে শিশু মিয়াকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়। এদিকে একই সময়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বণিকপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষ তুষারের ছুরিকাঘাতে কান্দিপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে শুভ নিহত হয়। বেশ কয়েক দিন আগে তুষার ও শুভর মধ্যে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে শুভর ওপর হামলা চালায় তুষার। মহেশখালীতে বড়ভাই নিজস্ব সংবাদদাতা মহেশখালী থেকে জানান, মহেশখালী উপজেলার ছোটমহেশখালীতে জমির বিরোধের জের ধরে বড়ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছোটভাই। নিহতের নাম ছলিম উল্লাহ (৪৫)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের সিপাহী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নছর উল্লাহ তার বড়ভাই ছলিম উল্লাহকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে তিনি মারা যান। হত্যার পর পালিয়ে যায় ঘাতক নছর উল্লাহ। পিরোজপুরে ব্যবসায়ী নিজস্ব সংবাদদাতা পিরোজপুর থেকে জানান, নাজিরপুর উপজেলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বুধবার ভোররাতে আব্দুস ছবুর হাওলাদার (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। নিহত সবুর উপজেলার সাতকাছিমা গ্রামের গাদেরহাট এলাকার মৃত ছোবাহান হাওলাদারের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বেকারির মালিক। পুলিশ জানায়, বুধবার ভোর ৪টার দিকে স্থানীয় মৃধাবাড়ি মসজিদের ইমাম মোঃ মিজানুর রহমান মৃধা হঠাৎ করে সবুরের ঘরের ওপর ইটের টুকরা ছুড়ে মারে। বিষয়টি দেখার জন্য বাইরে বেরিয়ে আসার পরই মিজান ধারালো লোহার অস্ত্র দিয়ে সবুরের বুকে আঘাত করে। এরপর তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে এ ঘটনার পর স্থানীয়রা মিজানকে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়েছে। জামালপুরে ট্রাক্টর চালক নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, জামালপুরে নিখোঁজের ছয়দিন পর মঙ্গলবার রাতে জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া নাওভাঙ্গাচর এলাকায় কচুক্ষেতের মাটিতে পুঁতে রাখা অপু (২২) নামের ট্রাক্টও চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৫ জুন রাতে সে নিখোঁজ হয়েছিল। স্থানীয় পাথালিয়া নাওভাঙ্গাচর গ্রামের রিক্সাচালক সুরুজ আলীর ছেলে সে। এ ঘটনায় আটক নিহতের বন্ধু আল আমিনকে (২৪) আসামি করে বুধবার জামালপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ও নিহতের বাবার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাক্টও চালক অপু ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে স্থানীয় পাথালিয়া আদর্শ বয়েজ ক্লাব থেকে বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ২৬ জুন সকালে তার বাবা প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বাড়ির কাছেই পাটক্ষেতে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে এবং পাটক্ষেত তছনছ দেখে তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ কোথাও গুম করা হয়েছে বলে সন্দেহ করেন। ওইদিনই তার বাবা সুরুজ আলী সদর থানায় একটি জিডি করে ছেলের সন্ধান চান। ওই জিডির সূত্র ধরে সদর থানা পুলিশ অপুর বন্ধু একই ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয় ট্রাক্টও চালক আল আমিনকে আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আল আমিন তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে অপুকে হত্যার পর তার বাড়ির কাছেই কচুক্ষেতে পুঁতে রেখে মরদেহ গুম করার তথ্য দেয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর সদর থানার একদল পুলিশ মঙ্গলবার রাত একটার দিকে কচুক্ষেতে লাশ উদ্ধারে অভিযানে যান। ওই কচুক্ষেতে পুঁতে রাখা অপুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করলে তার বাবা সুরুজ আলী তা শনাক্ত করেন। রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, স্থানীয় একটি বিল থেকে রাজু মিয়া (২১) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী কমারটেক এলাকার একটি বিল থেকে রাজু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাজু মিয়া উপজেলার ইছাখালীর রুস্তম আলীর ছেলে। রাজু বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া ও লাইটিংয়ের ব্যবসা করে আসছিল। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হরবিলাশ জানান, গত ২৯ জুন সন্ধ্যা থেকে রাজু নিখোঁজ ছিল। বুধবার সকালে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কোর্টপাড়ার একটি বিলে রাজুর লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
×