ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের প্রতি কাদের

কঠিন সময়েও যদি জাগ্রত না হই তবে আর কবে?

প্রকাশিত: ২২:২৯, ৩০ জুন ২০২০

কঠিন সময়েও যদি জাগ্রত না হই তবে আর কবে?

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যে কোন সঙ্কটে অসহায় মানুষের পাশে থাকাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সঙ্কটে অসহায় মানুষের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়াই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। দুর্যোগে সবার আগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি বিগত সত্তর বছর মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করেছে মাটি ও মানুষের দল আওয়ামী লীগ। সোমবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও করোনার দুর্যোগে গত এক শ’ দিন ধরে অসহায় ভাসমান মানুষের মাঝে প্রতিদিন দু’বেলা খাবার বিতরণ কর্মসূচীতে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ করোনা সঙ্কটে সারাদেশের অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিতকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী, সহযোগী সংগঠনগুলো এবং জনপ্রতিনিধিরা এ পর্যন্ত এক কোটি ২৫ লাখেরও বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ১০ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ প্রদান করেছে। করোনা প্রতিরোধে চশমা, মাস্ক, পিপিই, সাবান, সেনিটাইজার, স্প্রে মেশিনসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জীবনে যে কোন দুর্যোগ ও সঙ্কটে তরুণেরা এগিয়ে এসেছে, তাদের সম্মিলিত তারুণ্য অসহায় মানুষের সাহস জোগাবে। আমি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের তরুণ নেতাদের ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে মানুষে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। সামনের দিনগুলোতে এই শহরের খোলা আকাশের নিচে যারা বাস করে, ফুটপাথ-রেলস্টেশন-টার্মিনাল-ফ্লাইওভারের নিচে যারা থাকে- এদের কোন তালিকা নেই। এদের তালিকা আপনাদেরই তৈরি করতে হবে। এই ভাসমানদের খাবার বিতরণের ১০০ দিন শেষ হওয়ার পরেও আপনারা নতুন কর্মসূচী নেবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবনের মায়াকে তুচ্ছজ্ঞান করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এজন্য অধিক সংখ্যক করোনায় আক্রান্তও হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ৬ নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দলীয় সংসদ সদস্যসহ দেশের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে সমন্বয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে আঘাত হানতে শুরু করেছে। পার্শ¦বর্তী দেশে রবিবার শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার রোগী। এই কঠিন সময়ে যদি আমাদের সচেতনা জাগ্রত না হয় তবে কখন হবে? আমাদের নিজেদের মধ্যে যে শক্তি আছে সেটাতে জাগ্রত করতে হবে। নিজেকে এবং চারপাশের মানুষকে বাঁচাতে সুরক্ষাবলয় তৈরির বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা ও অবহেলা আমাদের জীবনের পথ থেকে ছিটকে দিতে পারে। সঙ্কটে সাহসী ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সঙ্কটকালে মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে, মতামত নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। করছেন সমন্বয়। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। তার নেতৃত্বে সবার সহযোগিতায় এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ।
×