ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লেভানডোস্কি, পাভার্ডের গোলে ঝলমলে ফেরা বেয়ার্নের

প্রকাশিত: ০১:০৯, ১৯ মে ২০২০

লেভানডোস্কি, পাভার্ডের গোলে ঝলমলে ফেরা বেয়ার্নের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন ফেরাটা জ্বলজ্বল হয়েছে বেয়ার্ন মিউনিখের। প্রায় ৭০ দিন পর মাঠে ফিরে সহজ জয় পেয়েছে দলটি। রবিবার রাতে জার্মান বুন্দেসলিগার ২৬তম রাউন্ডের রাতে স্বাগতিক ইউনিয়ন বার্লিনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্ন। বিজয়ী দলের হয়ে একটি করে গোল করেন পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডোস্কি ও ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ বেঞ্জামিন পাভার্ড। আরেক ম্যাচে নিজেদের মাঠে দুই গোলে এগিয়ে যেয়েও জিততে পারেনি এফসি কোলন। সফরকারী মেইঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। এই ম্যাচে কোলনের সমর্থকরা অদ্ভুতভাবে প্রিয় দলকে সমর্থন করেন। মাঠে যাওয়ার অনুমতি না থাকায় তারা পুরো স্টেডিয়ামের আসনগুলোতে প্রিয় দলের জার্সি বিছিয়ে রাখেন। তাতে অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা হয়। সহজ জয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আরও বাড়িয়েছে বেয়ার্ন। ২৬ ম্যাচ শেষে ১৮ জয় ও ৪ ড্রতে তাদের ঝুলিতে ৫৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বরুসিয়া। ১২তম স্থানে থাকা ইউনিয়ন বার্লিনের সংগ্রহ ৩০ পয়েন্ট। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে আছে মেইঞ্জ। মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে খেলা স্থগিত হওয়ার আগেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে ছিল বেয়ার্ন। দুই মাসেরও বেশি সময় বিরতিতে থাকার পরও কোন ছাপ পড়েনি দলটির খেলায়। পুরো ম্যাচেই ছন্দময় পারফর্মেন্স উপহার দেন লেভা, পাভার্ডরা। মজার বিষয় হলো, বার্লিনের বিরুদ্ধে প্রথম দেখায়ও এ দু’জন গোল করেছিলেন বাভারিয়ানদের হয়ে। গত অক্টোবরে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বেয়ার্নের জয়টা ছিল ২-১ গোলের। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে সহজ জয়ই প্রত্যাশিত ছিল চ্যাম্পিয়নদের। তবে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪০ মিনিট পর্যন্ত। সেটিও এসেছে পেনাল্টি থেকে। চলতি লীগে নিজের ২৬ নম্বর গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন লেভানডোস্কি। জয় নিশ্চিত করা দ্বিতীয় গোলের জন্য বেয়ার্নকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ৪০ মিনিট। অর্থাৎ ম্যাচের ৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রান্সের তরুণ তুর্কী পাভার্ড। জশুয়া কিমিচের কর্ণার কিক থেকে লাফিয়ে উঠে দর্শনীয় হেডে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচ শেষে লেভানডোস্কি বলেন, খুব ভাল লাগছে অনেকদিন পর খেলতে পেরে। আশা করছি দ্রুতই সবকিছু ঠিক হবে আর সমর্থকরাও মাঠে ফিরতে পারবেন। নিয়মের বেড়াজালের কারণে সমর্থকরা মাঠে আসতে না পারলেও প্রিয় দলের জন্য তাদের ভালবাসার ঘাটতি নেই। এই নমুনা দেখে গেছে কোলন ও মেইঞ্জের ম্যাচে। কোলনের সমর্থকরা অভিনব পদ্ধতিতে প্রিয় দলকে সমর্থন জুগিয়েছেন। খেলা শুরুর ঘণ্টা চারেক আগে ভুতুড়ে দর্শকদের মাঠে আনে ক্লাবটি। যেখানে সমর্থকদের শরীরটাই শুধু ছিল না। কোলনের স্টেডিয়ামের গ্যালারির আসনে বিছিয়ে রাখা হয় ক্লাবের হোম, এ্যাওয়ে ও তৃতীয় আরেকটি জার্সি।
×