ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধিরগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত যুবক করোনা আক্রান্ত ছিলেন না

প্রকাশিত: ০০:১৫, ১৩ মে ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত যুবক করোনা আক্রান্ত ছিলেন না

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে মারা যাওয়া যুবক রিমন হোসেন সাউদের চাচা সানিক হোসেন জনকণ্ঠের এ প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও রিমন হোসেনের করোনা নেগেটিভ হওয়ার রিপোর্টটি এ প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। মৃত রিমন হোসেন সাউদের চাচা সানিক হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ভাতিজা করোনায় আক্রান্ত ছিল না। যদি একদিন আগে করোনা নেগেটিভ হওয়ার রিপোর্টটি হাতে পেতাম তবে আমার ভাতিজা বিনা চিকিৎসায় মারা যেত না। এমনকি আমার ভাতিজার মৃত্যুর শোকে আমার বড়ভাই ইয়ার হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতেন না। জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের সরদারপাড়া এলাকায় রিমন হোসেন সাউদ (২৭) করোনার উপসর্গ জ্বর, ঠা-া ও কাশি নিয়ে পর পর দুটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সোমবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবা মোঃ ইয়ার হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রিমন সাউদের চাচা সানিক হোসেন বলেন, মারা যাওয়ার পর আমার ভাতিজা ও বড় ভাইয়ের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী করবস্থানে দাফন করতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাধা দেন। অবশ্য বড় ভাইয়ের লাশ দাফনের সম্মতি দিলেও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ভাতিজার লাশ দাফনে বাধা দেয়ায় তাদের দুই জনের লাশ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের সাইলো রোড এলাকার কবরস্থানে দাফন করতে হয়েছে। সানিক হোসেন বলেন, গত ৯ মে আমার ভাতিজা রিমন সাউদের করোনাভাইরাসের নমুনা রূপগঞ্জের গাজী করোনা পিসিআর ল্যাবে দেয়া হয়। মঙ্গলবার তার রিপোর্টটি হাতে পেয়েছি। অথচ আমার ভাতিজার করোনা নেগেটিভ এসেছে। অথচ আমার ভাতিজার করোনার উপসর্গ থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালে ও ঢাকার পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে গেলেও ভর্তি করাতে পারিনি। তারা করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ দেখাতে পারলে ভর্তি করাবেন। অবশেষে আমার ভাতিজা বিনা চিকিৎসায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। সানিক হোসেন আরও বলেন, আমার একটাই অনুরোধ আমার ভাতিজা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। আর কোন মায়ের সন্তান যেন এভাবে করোনার উপসর্গ নিয়ে বিনা চিকিৎসা মারা না যায়।
×