ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা মোকাবেলায় সরকারী-বেসরকারী যৌথ প্রচেষ্টা চাই ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ৩০ এপ্রিল ২০২০

করোনা মোকাবেলায় সরকারী-বেসরকারী যৌথ প্রচেষ্টা চাই ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারী বেসরকারী যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস: প্রোটেকটিং দ্য মোস্ট ভালনারেবল’ শীর্ষক এক ওয়েব সেমিনারে ঢাকা থেকে অনলাইনে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ‘জাতিসংঘ গ্লোবাল কম্প্যাক্ট’ এ সেমিনারের আয়োজন করে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসজনিত সঙ্কট মোকাবেলায় বেশ কিছু উদ্দীপনা প্যাকেজসহ তার সরকারের তরফ থেকে দুই ধাপে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার সার্বিক একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে তিনি রফতানিমুখী শিল্পকর্মী ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা জরুরী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার চারটি নতুন আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া কৃষি খাতের ক্ষতি মোকাবেলায় কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে সারাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারী ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩০টি পরিবার তথা তিন কোটি ৮১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৬৮ জনের কাছে সরকারের চাল ও নগদ টাকার সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে । এর বাইরে শিশুদের জন্যও আলাদাভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, পরিত্র রমজন উপলক্ষে দেশব্যাপী ৪৯৮টি ট্রাকে করে সাশ্রয়ী দামে এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ইত্যাদি। আইনমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি বিশেষ এগিয়ে এসেছে। সরকারের পাশাপাশি গার্মেন্টস সংগঠনগুলো তাদের কারখানাগুলোর কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হবে। জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট ও ন্যাটুরা কোম্পানির চেয়ারম্যান রবার্ট মারকুইসও এ সেমিনারে অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
×