স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ টাকশাল দিয়ে প্রতিপক্ষের পা কেটে বিজয় উল্লাস হয়েছে। কাটা পা নিয়ে গ্রামের অলিতে-গলিতে হয়েছে মিছিল। বীভৎস এই চিত্র দেখে অনেকেই হতভম্বও হয়ে পড়ে। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে। স্থানীয়রা জানায়, এ গ্রামের আবু মেম্বার ও মুসলিম মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই সকালে মুসলিম মেম্বারের লোকজনকে আবু মেম্বারের লোকজন হামলা করে। এ সময় আবু মেম্বারের নাতি হাজির হাটির মোবারক হোসেনকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার জন্য সে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তখন সন্ত্রাসীরা তার ডান পা টাকশাল দিয়ে গোড়ালি পর্যন্ত কেটে ফেলে। পরে কাটা পা নিয়ে গ্রামের সড়কে সড়কে মিছিল করে। এ ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রবিবারের সংঘর্ষের সময় অন্তত হাজির হাটির মোরসালিন (৩৫), জুয়েল (৩৫), দিন মোহাম্মদ (২৭), মনির (৩০)সহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের নবীনগর ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষকালে ১০/১৫ বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, প্রায় অর্ধশত রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিতারা গ্রামে রবিবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পূর্ব বিরোধের জেরে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী ও আব্বাস মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে সকালে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের সরাইল সদর হাসপাতাল ও আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সরাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে, পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।