ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুখ্য সচিবের ব্রিফিং

যার যার ঘরে থাকুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২৫ মার্চ ২০২০

যার যার ঘরে থাকুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার নেয়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে উৎসব করার জন্য নয়, এ ছুটি বাসায় থাকার জন্য দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের মূলমন্ত্র যার যার ঘরে থাকুন, এই ভাইরাস প্রতিরোধ করুন। দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, আপনারা দয়া করে করে বাসার বাইরে যাবেন না। এটি আমাদের এখন জাতীয়ভাবে সবাই একসঙ্গে মোকাবেলার সময় এসেছে। আমরা সবাই একযোগে সেটি মোকাবেলা করব। আপনারা দয়া করে এই বিষয়ে ব্যত্যয় ঘটাবেন না।’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি দেশবাসীর প্রতি এই অনুরোধ জানান। বিফ্রিংকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জোয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ছুটিতে ঘোরাফেরা না করে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসায় থাকার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। বেসরকারী সংস্থায় কর্মরতদের প্রতিও একই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে করোনো রোধে বিশ্বের মূলনীতিই হচ্ছে, ঘরে অবস্থান করা। এটি না মেনে আপনি অন্যকিছু করলে, নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন এবং হাজার হাজার লোকের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবেন। কাজেই নিজের ও অন্যের নিরাপদের জন্য ঘরে অবস্থান করুন। মুখ্য সচিব বলেন, ২৬ মার্চের সরকারী ছুটি এবং ২৭, ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ হতে ২ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এর মানে হচ্ছে, ছুটির মধ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাসায় থাকবেন। এই ছুটি ভোগ বা উৎসব করার জন্য দেয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য দেয়া হয়েছে। ছুটির মধ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাসায় থাকবেন। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের অনুরোধ করছি, সবাই ঘরে থাকুন। দয়া করে ঘরের বাইরে যাবেন না। প্রয়োজনের বাইরে কোনভাবেই যাবেন না। জরুরী প্রয়োজনে যদি যেতে হয় তাহলেও স্যানিটাইজেশন এবং সকল প্রকারের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেই যাবেন। অনুগ্রহ করে বিষয়টি পালন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।’ সরকারের তরফ থেকে ট্রেন, বাস, লঞ্চে যাত্রীবহন বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘আপনারা যে যেই জায়গায় আছেন, সবাই আর স্থান ত্যাগ করবেন না। যারা গিয়েছেন তাদেরকে অনুরোধ করব, তারা যদি ইতোমধ্যে গিয়ে থাকেন তবে ঘরের বাইরে যাবেন না।’ চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, কাঁচাবাজার, এ্যাম্বুলেন্স, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী সেবায় যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো এর আওতার বহির্ভূত থাকবে। তারা সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের সেবা দেবে।
×