ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করমজলে ৩৫ ডিম দিয়েছে বাটাগুর বাসকা

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ১২ মার্চ ২০২০

করমজলে ৩৫ ডিম দিয়েছে বাটাগুর বাসকা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ৩৫ ডিম দিয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’। মঙ্গলবার রাতে করমজল প্রজনন কেন্দ্রে একটি বাটাগুর বাসকা ৩৫ ডিম দেয়। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফুটানো হবে। এতে ৬৫ থেকে ৬৭ দিন সময় লাগতে পারে বলে বুধবার সুন্দরবন করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানিয়েছেন। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো করমজলে ডিম পারল বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। এর আগে ২০১৭ সালে দুইটি বাটাগুর ৬৩ ডিম দেয়, যা থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। পড়ে ২০১৮ সালে দুইটি কচ্ছপ ৪৬টি ডিম দেয়, তাতে ২৪টি বাচ্চা ফোটে। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপ ৩২টি ডিম দেয় এবং যার সব ডিম থেকেই জন্ম নেয় বাচ্চা। সুন্দরবন করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, একটি কচ্ছপ ৩৫টি ডিম দিয়েছে। আমরা সব ডিমই প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন করে বাচ্চা ফুটানোর চেষ্টা করব। আশা রাখছি, ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে সব ডিম থেকেই বাচ্চা বের হবে। ২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন, পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোন অস্তিত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কিনা তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন-পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকাগুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি।
×