স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইসকন মন্দির ও স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনাকারী এক জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরজিম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেফতারকৃত জঙ্গী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বংশাল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু কায়সার ওরফে রনি নামের ওই জঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে দুইটি পাসপোর্ট ও একটি স্মার্টফোন পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে সিটিটিসি।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ জানায়, সম্প্রতি আনসার আল ইসলামের তিন সদস্য গ্রেফতার হয়। তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক রনিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে জানিয়েছে। রনি জিহাদের উদ্দেশে ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। আনসার আল-ইসলামের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ২০১৮ সালে দুবাই যান। দুবাই অবস্থানকালে রনি অনলাইনে টেলিগ্রাম ও অন্যান্য নেটওয়ার্কিং এ্যাপসের মাধ্যমে সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ সময় নাশকতামূলক কর্মকা-ে জড়িত সন্দেহে ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। সাত মাস জেলে রাখার পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয় দেশটি।
দেশে ফিরে রনি পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের সংগঠিত করে নাশকতামূলক কর্মকা-ের জন্য কাজ শুরু করে। সম্প্রতি তার নির্দেশে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল-ইসলামের কতিপয় সদস্য কথিত জিহাদের উদ্দেশে ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত জঙ্গী সংগঠনটির তিন সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তাতে রনির নাম প্রকাশ পায়। তারা রনির নির্দেশে হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি করে। রনি টেলিগ্রাম ও অন্য অনলাইন চ্যাট গ্রুপ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত। দুবাই অবস্থানকালে রনি অনুসারীদের মাধ্যমে নাশকতামূলক কর্মকা- চালাতে অনলাইন মার্কেট থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ক্রয় করে দেশে আনার চেষ্টা করেছিল।
রনির সঙ্গে সংগঠনের দাওয়াতী শাখার সদস্য নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর যোগাযোগ ছিল। নাজমুল ওরফে উসমান ইতিপূর্বে জঙ্গীবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যা প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করেন। এ ঘটনায় দায়েকৃত মামলায় ২০১৮ সালে সংগঠনটির দুই সদস্য গ্রেফতার হয়।
