বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, মুবিজবর্ষকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। বহস্পতিবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনসমর্থন হারিয়ে এবং নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন ইস্যুনির্ভর রাজনীতি করছে। দেশে কোন কিছু হলেই তারা সেটিকে পুঁজি করে আন্দোলনের মদদ যোগায়। এছাড়া তাদের অন্যকোন কাজ নেই। পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ বদলির ঘটনা নিয়ে বিএনপি এখন নতুন ইস্যু খুঁজছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশে বিদেশী অতিথিরা আসবেন। দেশের মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে উৎসাহ রয়েছে। আমাদের এ বিষয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জš§শতবার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে বিএনপি বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড। বিএনপি আজও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মেনে নেয়নি। তবে তারা শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুর অর্জন ম্লান করতে পারেনি। মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমন নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী দলের কর্মসূচীতে শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা সে রকম কিছু ভাবছি না। ঐতিহাসিক আয়োজনে সারাদেশের মানুষের মাঝে সাড়া জেগেছে। মুজিববর্ষের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষও বাধা বা প্রতিবন্ধকতা দেখছে না। যারা আবেগে বিষয়টির বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি আছে, যারা বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে, যেমন বিএনপি। মূলত বঙ্গবন্ধুকে তাদের সহ্য হয় না। তারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধী দলীয় কেউ হলেও আমরা বিব্রত হইনি, ব্যবস্থা নিয়েছি, ব্যবস্থা নেব। অপরাধীরা নজরদারিতে আছে। অপরাধীরা পার পাবে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। অপরাধী দলীয় পরিচয়ে পার পাবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচারক বদলির বিষয়টি সম্পূর্ণ বিচার বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। পিরোজপুরে আদালতে আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি হলেও তারাই সমাধান করবে। এ বিষয়ে দলীয়ভাবে মন্তব্য করব না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পর্যবেক্ষণে কোন বিচ্যুতি দেখলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কিছু সুবিধাবাদীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তবে অপরাধ করে কেউই পার পাবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে। বৈঠকে ঢাকা-১০ আসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান ওবায়দুল কাদের। এ সময় আসন্ন ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে সমন্বয়ক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।
