ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব আত্মসাত ॥ কর্মকর্তার ১২ বছরের জেল

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ৪ মার্চ ২০২০

রাজস্ব আত্মসাত ॥ কর্মকর্তার ১২ বছরের জেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৩ মার্চ ॥ দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দায়ের করা একটি মামলার রায়ে শুল্ক ও রাজস্ব করের টাকা আত্মসাতের দায়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ১২ বছরের সশ্রম কারাদ- এবং অপর আসামি আমদানিকারক মোঃ ইমারুল হককে তিন বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুরের স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর হয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের স্বত্বাধীকারী মোঃ ইমারুল হক ভারত থেকে ১ হাজার ৫০০ টন কয়লা ও ৪০০ টন পাথর আমদানি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা শেরপুর জেলা সদরের নওহাটা ব্যবহার করলেও মোঃ ইমারুল হকের বাড়ি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চ-িপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ আফাজ উদ্দিন। ওই সময় স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম আমদানিকারক মোঃ ইমারুল হকের সঙ্গে যোগসাজশ করে হিসাব সংরক্ষণ না করে আমদানি শুল্ক ও রাজস্ব করের ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাত করেন। এ বিষয়ে তৎকালীন জামালপুরের জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শক মেনহাজ আলী খান বাদী হয়ে ২০০৩ সালের ৬ আগস্ট আমদানিকারক মোঃ ইমরারুল হক ও স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন, বিশ^াসভঙ্গ, সরকারী আলামত গোপন ও শুল্ক ফাঁকির সহযোগিতার মাধ্যমে সরকারী শুল্ক ও রাজস্ব করের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ সাত বছর পর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৫ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল হয়। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জামালপুরের বিশেষ জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। বিচারক তার রায়ে মামলাটির প্রধান আসামি আমদানিকারক মোঃ ইমারুল হককে তিন বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামকে পৃথক দুটি ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর আসামি মোঃ ইমারুল হককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দ-প্রাপ্ত অপর আসামি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার মুখী গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে।
×