ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাত দিন পর শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ১২:১১, ৩ মার্চ ২০২০

সাত দিন পর শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা সাত দিন দরপতনের পর সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণেই শেয়ারবাজারে এই ইতিবাচক প্রবণতা বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তাদের মতে, শেয়ার বাজারে আস্থা ফেরাতে ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের টাকা পেতে কয়েকটি ব্যাংক উদ্যোগী হওয়া এবং ছয়-নয় সুদের হারে ব্যাংকের মুনাফায় তেমন কোন প্রভাব পড়বে না এমন আশাবাদের কারণে শেয়ার কেনার চাহিদা বেড়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সার্বিক বাজারে। আগের সাত কার্যদিবসের মতো এদিনও লেনদেনের শুরুতেই সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। এতে প্রথম ১৫ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২২ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর কিছুটা উর্ধমুখী হয়ে আবার পতনের দিকে এগোতে থাকে সূচক। তবে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। শেষ তিন ঘণ্টার লেনদেনে বাড়তে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে সূচকেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে ১২টা থেকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত আর একবারের জন্যও ঋণাত্মক হয়নি সূচক। তবে শেষ অধাঘণ্টার লেনদেনে কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ার কারণে সূচকের বড় উত্থান হয়নি। এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে টানা সাত কার্যদিবসের পতনে সূচকটি কমে ৩৪৮ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াহ্ ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্যসূচকের এই ঘুরে দাঁড়ানোর দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৯টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৫টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির দাম। এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৫৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফার কেমিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑ ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, ওরিয়ন ইনফিউশন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল, খুলনা পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ওরিয়ন ফার্মা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×