ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ বক্সে বিস্ফোরক ঢুকল কিভাবে?

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ২ মার্চ ২০২০

  পুলিশ বক্সে বিস্ফোরক ঢুকল কিভাবে?

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ষোলশহর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়ার ঘটনায় ত্রিমুখী সন্দেহ দানা বেঁধেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আমেনা বেগম মিডিয়াকে বলেছেন, পুলিশ বক্সের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে, বাইরে থেকে কেউ মারেনি। বোমা আগে থেকে ভেতরে রাখা হয়েছে। আহত ট্রাফিক পুলিশরা বলছেন, বাইরের কেউ পুলিশ বক্সে প্রবেশ করতে পারেনা। রাতে বক্সের দরজায় তালা মারা থাকে। আশপাশের দোকানদাররা বলছেন প্রতিনিয়ত ট্রাফিক কনস্টেবলরা অপরাধী চালকদের পুলিশ বক্সের ভেতরে ধরে নিয়ে যান ডকুমেন্ট পরীক্ষার নামে অবৈধ অর্থ আদায়ে। আবার জঙ্গী সংগঠন ইসলামী স্টেট (আইএস) ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে এমন তথ্যও মিডিয়াকে দিচ্ছেন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারাও। এদিকে, বিস্ফোরণের পর থেকে গোপন তথ্যবিহীন শুধু মোটরসাইকেল ও সিএনজি ট্যাক্সিতে যাত্রীদের হয়রানি আর আইওয়াশের উদ্দেশে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে থানা পুলিশ। বিশেষ করে খুলশী ও পাঁচলাইশ থানা পুলিশ শনিবার ও রবিবার মাথায় হেলমেট লাগিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি ট্যাক্সিতে এবং যাত্রীদের দেহ তল্লাশি করেছেন। তবে রবিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুলশী থানা পুলিশ প্রায় শতাধিক গাড়ি ও দু’শতাধিক যাত্রীর দেহ তল্লাশি করলেও রেজাল্ট শূন্য। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিনিয়ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশের বক্সে চলে নীরব চাঁদাবাজি। অসাধু মালিকরা গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন না করেই রাস্তায় চালাচ্ছে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। গাড়ির নবায়ন ও ফিটনেসের ফি এবং এ্যাডভান্স ট্যাক্স জমা না দিয়ে রাস্তায় নামাচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চালক রাস্তায় নামছে। ট্রাফিক পুলিশের সোর্স ও কনস্টেবল রাস্তায় গাড়ি থামাচ্ছে ডকুমেন্ট পরীক্ষার নামে নয়, অবৈধ অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে। এ ধরনের গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয় চালকে। গাড়ির ডকুমেন্ট ঠিক থাকলেও চা খাওয়ার নামে হলেও নেয়া হয় বখশিস। আর কাগজপত্র ঠিক না থাকলে মামলার হুমকি দিয়ে আদায় করছে মোটা অঙ্কের অর্থ এমন তথ্য জানিয়েছে ভুক্তভোগী চালকরা।
×