ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিববর্ষে বগুড়ার তরুণ চার শিল্পীর বিশেষ গান

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 মুজিববর্ষে বগুড়ার তরুণ চার শিল্পীর বিশেষ গান

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ কৃতী শিল্পী ও সুরকার মাহবুবে সোবহানী বাপ্পি। বগুড়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য। নাটকের সঙ্গে সুরের সাধনায় নিজেকে গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে লালিত মাহবুবে সোবহানী বাপ্পি লেখাপড়ার পাশপাশি নাটক, গান ও সুরের ত্রয়ী মিলনে নিজেকে গড়ে তুলছেন। মুজিববর্ষে বগুড়া থেকেই বড় অবদানের প্রত্যয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণীয় করে রাখতে চেতনার গানে সুর করেন। গান লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ত্বাইফ মামুন মজিদ। বাপ্পি বগুড়ার প্রীতম রেকর্ডিং স্টুডিওতে চার তরুণ শিল্পীর কণ্ঠে গান রেকর্ড করেন। শিল্পীরা স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। গানটি সম্পাদনার পর ইউটিউবে অবমুক্ত হয়েছে। গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে ভিডিও চিত্রায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ড. ত্বাইফ মামুন জানান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তার শতাধিক গানের মধ্যে এই গানটি মুজিববর্ষকে সামনে রেখে লিখেছেন। গানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটের বর্ণনা আছে। যে কারণে গানের চিত্রায়নে আর্কাইভের সহযোগিতা নেয়া হবে। কিছু চিত্রগ্রহণ করা হবে নদী ও গ্রামের পথে প্রান্তরে। গানটি শুরু হয়েছে এভাবে ‘পদ্মা যমুনা হতে যে ধারা বয়, সেই নদীর প্রতি স্রোত কার কথা কয়! রেসকোর্স কেন আজ উত্তাল হয়। বীর বাঙালী দেখ কান পেতে রয়। নেতা আসছে। নেতা আসছে বজ্রকণ্ঠে প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুজিব মানেই প্রিয় স্বাধীনতা। ডিজিটাল ডিভাইসে লিড গিটার, বেজ গিটার, তবলা ও ড্রামের সংমিশ্রণে বিশেষ কি বোর্ডে সুর সংযোজন করা হয়েছে। সুরকার বাপ্পি দাবি করেন বগুড়ায় এ ধরনের উন্নত প্রযুক্তিতে গান রেকর্ডিং এই প্রথম। এর আগে তিনি লোক গান, দেশাত্মবোধক গান ও আধুনিক প্রায় ৫০টি গানে সুর দিয়েছেন। মুজিববর্ষের এই গান রেকর্ডিংয়ে তিনি তার মেধা প্রয়োগ করেছেন। গানটি অবমুক্ত হওয়ার আগেই গানের কথা ও সুরে বগুড়ার আমরা ক’জন শিল্পীগোষ্ঠীর নৃত্য শিল্পীরা বগুড়া শহীদ টিটু মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরিওগ্রাফি অনুষ্ঠান করেছে। যা দর্শক নন্দিত হয়েছে। প্রেরণায় সুরকার বাপ্পির আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আরও বড় কাজের আশা করছেন। এই গানের ওপর ভিডিও চিত্রটিও ইউটিউবে অবমুক্ত করা হবে। সূযোগ পেলে কোন টিভি চ্যানেল প্রচার করবেন। গানের মূল ভোকাল সুরকার নিজের। সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মুশফিক মাহী, সাবরিন সামান্থা, নিবির, ফরহাদ আলম অভি। এদের মধ্যে মাহী ও সাবরিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী, নিবির অষ্টম শ্রেণীর, অভি সমাজ বিজ্ঞানে মাস্টার্স পরীক্ষার্থী। সুরকার বাপ্পি সরকারী আজিজুল হক কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স সমাপনী বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি শহরের ঠনঠনিয়া নতুনপাড়ায়। ২০০৮ সালে গান শেখা শুরু। হিন্দোল সঙ্গীত একাডেমির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সৃষ্টিশীল কাজের জন্য বগুড়া থিয়েটারের কর্ণধার তৌফিক হাসান ময়না তাকে কলেজ থিয়েটারের সদস্য করে নেন। কলেজ থিয়েটারের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে ধ্রুপদ সুরের সাধনায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। মুজিববর্ষে আরও নতুন কিছু উপহার দেয়ার ইচ্ছা আছে তার।
×