ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নায়করাজ রাজ্জাকের ৭৯তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

 নায়করাজ রাজ্জাকের ৭৯তম জন্মদিন আজ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ৭৯তম জন্মদিন আজ। গত ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পরপারে পাড়ি জমান তিনি। তার হঠাৎ চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্রে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এ মহান নায়ককে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভক্ত-দর্শক কেউই ভোলেননি। এদিকে নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রথম বায়োপিক। ৯০ মিনিট ব্যাপ্তির ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ শিরোনামের এই বায়োপিকটি নির্মাণ করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। রাজ্জাকের মৃত্যুর বছর খানেক আগে থেকেই শাইখ সিরাজ এই বায়োপিকটি নির্মাণে হাত দেন। রাজ্জাকের অকপটে দীর্ঘ সাক্ষাতকার গ্রহণের পাশাপাশি এক সময়ে তার কলকাতায় বেড়ে ওঠার বসতভিটার হালচাল, সেখানে অবস্থানরত জীবিত নিকটাত্মীয় এবং ওই মহল্লার বন্ধু-বান্ধবের স্মৃতিচারণসহ রাজ্জাকের কালজয়ী দুর্লভ চলচ্চিত্রের অংশ, গান- বায়োপিকটিতে সংযোজন করেছেন শাইখ সিরাজ। এ বায়োপিকে রাজ্জাককে নিয়ে কথা বলেছেন তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের সহশিল্পীরা, বিশেষ করে সুচন্দা, কবরী, ববিতা প্রমুখ। নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বায়োপিকটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে আজ বিকেল ৩-৩০ মিনিটে। ঢাকার চলচ্চিত্রেরর প্রাণপুরুষ রাজ্জাকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ নামের এই চিত্রগাথা প্রচার হয়েছিল। বড় পর্দার বড় এই নায়কের ভক্তদের জন্য বায়োপিকটি হলেও প্রদর্শিত হয়েছে। এর পাশাপাশি ফিল্ম আর্কাইভেও এটি সংরক্ষিত হয়েছে। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৪ সালে ভারত ছেড়ে স্ত্রী লক্ষ্মী এবং একমাত্র সন্তান বাপ্পারাজকে নিয়ে অনিশ্চিত গন্তব্য ঢাকায় আসেন। পরবর্তীতে নিষ্ঠা এবং মেধার অসামান্য সমন্বয়ে নিজেকে চলচ্চিত্রে নায়করাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রায় ৫০ বছরের অভিনয় জীবনে ‘বেহুলা’, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘ওরা ১১জন’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বড় ভাল লোক ছিল’, ‘ও আমার দেশের মাটি’সহ প্রায় ৫০০টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৬টি চলচ্চিত্রের পরিচালক রাজ্জাকের মালিকানাধীন রাজলক্ষী প্রোডাকশনের ব্যানার থেকে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের কয়েক দশকের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচিত রাজ্জাক শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য মোট পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেন। আজকের দিনে নায়ক রাজ্জাককে স্মরণ করতে তার পরিবারের সদস্যরা নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। নায়ক রাজের জীবনের শেষ ক’টি বছরে যে সবসময়ই তার পাশে ছিলেন তার ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট। তিনি জানান, আজ সকালে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে যেখানে নায়করাজ চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন সেখানে পরিবারের পক্ষ থেকে কোরআন পাঠ ও দোয়া করা হবে। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অন্যান্য এতিম, গরিবদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদেই নায়করাজের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হবে।
×