ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জ্ঞানালোক পুরস্কার পেলেন শুদ্ধানন্দ মহাথেরো ও তাসমিমা হোসেন

শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১২ জানুয়ারি ২০২০

শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞানচর্চাকারী ও আইন প্রতিষ্ঠাকারী চিরঞ্জীব। বিক্রমপুরে এমন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর। হিংসা, বিদ্বেষ ও অজ্ঞতা হচ্ছে সংঘাতের জন্য প্রধানত দায়ী। মানুষ চলে যায় কৃষ্টি রেখে যায়। ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি খ্যাতি পেয়েছেন এবং সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। শেখ হাসিনা তা মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশের দারিদ্র্য সীমা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে ৪২ থেকে ২০ শতাংশে নেমে গেছে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, সাংস্কৃতিক অর্জনও থাকতে হবে। আমাদের সব ভাল অর্জন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শনিবার সকালে লৌহজং উপজেলার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে শনিবার অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের দ্বিতীয় সম্মিলন ও জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজনটিতে দু’জন গুণীকে জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালের জ্ঞানালোক পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো। নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সৃজনশীল কর্ম ও অবদানকে সমুন্নত করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সংগঠিত উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালের জ্ঞানালোক পুরস্কার পান দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। তবে তিনি দেশের বাইরে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা, সাংবাদিকতা, জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ২০১৫ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। এর অর্থমূল্য ১ লাখ টাকা। ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিক্রমপুর মানে আমাদের কাছে প্রণোদনা। এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ও মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের এমপি মৃণাল কান্তি দাস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও থাকতে পারেননি। কবি ঝর্ণা রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের লৌহজং কেন্দ্রের আহ্বায়ক কবির ভূঁইয়া কেনেডি। ফাউন্ডেশনের সম্মিলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন এ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, বিক্রমপুর এক সময় ছিল জ্ঞানচর্চার আধার। প্রাচীনকালে বিক্রমপুরে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি চাই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম, পরিচয় ও অবদান এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হোক। আলোচকদের মধ্যে বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ড. মাহবুবে রশিদ, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লায়লা হাসান। তিনি বলেন, আমাদের বিক্রমপুরে অনেক কিছু দেখার আছে-জানার আছে। আপনাদের সন্তানদের এসব দেখাবেন। আলোচনা করেন অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবু ইউসুফ ফকির, ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সরকারী লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক, বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর অধ্যাপক মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনী তালুকদার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শক হৃদয় জয় করে নেয়।
×