ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘বোমা লিটু’কে খোঁজা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০০, ৫ জানুয়ারি ২০২০

‘বোমা লিটু’কে খোঁজা হচ্ছে

গাফফার খান চৌধুরী ॥ আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে অরাজক পরিস্থিতি এড়াতে বহুল আলোচিত বাবা-ছেলেকে খোঁজা হচ্ছে। এদের সঙ্গে জেএমবির আমির জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুফতি মাওলানা সাইদুর রহমান জাফরের যোগাযোগ ছিল। বিএনপির বহুল আলোচিত নেতা বাবা কাজী আতাউর রহমান লিটু ও তার ছেলে কাজী আনিসুর রহমানের সন্ধান চলছে। লিটুর বাড়ি থেকে প্রায় অর্ধশত মারাত্মক ধরনের বোমা উদ্ধারের পর তিনি ‘বোমা লিটু’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যান। বোমাগুলো জেএমবি আমির সাইদুর রহমানের সামরিক শাখার প্রশিক্ষিত সদস্যরা তৈরি করে মজুদ রেখেছিল লিটুর কাছে। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে পলাতক থাকা বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে আবারও গোপনে বোমাবাজদের সংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই বাবা-ছেলে আবারও তাদের লোকজন দিয়ে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে জেএমবি বোমা তৈরি ও মজুদ করছিল বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ‘১০ সালের ২৩ মে কদমতলীর ধনিয়া এলাকা থেকে বিপুল বিস্ফোরক, তৈরিকৃত আধুনিক বোমা, নয়টি অত্যাধুনিক শক্তিশালী হ্যান্ডগ্রেনেড, আত্মঘাতী হামলা চালানোর সরঞ্জামাসহ জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবির আমির মুফতি জাফর ও তার দুই সহযোগী গ্রেফতার করে পুলিশ। জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকায় তাদের লোকজন ও সহযোগীদের সম্পর্কে অনেক তথ্য দেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে চলতে থাকে ধারাবাহিক অভিযান। এই ধারাবাহিকতায়ই ওই বছরের ৩০ জুলাই শাহআলী থানাধীন উত্তর বিশিলের ৭০/ক নম্বর বাড়ি থেকে তিন ধরনের ৪০ কেজি বিস্ফোরক, ১টি এসএমজি (স্মল মেশিনগান), একটি বিদেশী স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, একটি তাজা হ্যান্ডগ্রেনেড, বোমার ২৫ ডেটোনেটর, তিন ব্যাগ বোমার স্পিøন্টার, ১৮ রাউন্ড এসএমজির তাজা বুলেট ও নাইন এমএম পিস্তলের গুলি, গ্রেনেডের ৩৬ খোলস, শতাধিক ইলেকক্ট্রিক ও কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ও বোমা তৈরির ফর্মূলাসহ প্রচুর জিহাদী বই উদ্ধার করে ডিবি পুলিশের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার বর্তমানে রাজশাহীর এসপি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
×