ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চার সেঞ্চুরির পর উৎসবের অপেক্ষায় পাকিস্তান

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

  চার সেঞ্চুরির পর উৎসবের অপেক্ষায় পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এরই নাম পাকিস্তান। দলটিকে নিয়ে আগাম অনুমান অসম্ভব। করাচী টেস্টেই যেমন প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছিল আজহার আলির দল। শ্রীলঙ্কা ২৭১। ৮০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা স্বাগতিকরা এখন জয়ের অপেক্ষায়। ৩ উইকেটে ৫৫৫ রানের (ডিক্লেঃ) পাহাড় গড়ে প্রতিপক্ষকে ছুড়ে দিয়েছে ৪৭৬ রানের অসম্ভব লক্ষ্য। এরপর ২১২ রানেই তুলে নিয়েছে লঙ্কানদের ৭ উইকেট। রবিবার চতুর্থদিন শেষে ওশাদা ফার্নান্দো ব্যক্তিগত ৯৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দশ বছর পর ঘরের মাটিতে টেস্ট প্রত্যাবর্তনের সিরিজটা জয়ের অপেক্ষায় ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিরা। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টপ-অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যান শান মাসুদ (১৩৫), আবিদ আলি (১৭৪), আজহার আলি (১১৮) ও বাবর আজম (১০০*)। টেস্টে এর আগে এমন ঘটনা একবারই ঘটেছিল, বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ভারতের প্রথম চার ব্যাটসম্যান। ২০০৭ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামে ভারত। ১৫৩ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬১০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। পাহাড়সম রান তোলার ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ভারতের টপ অর্ডারের প্রথম চারজন ব্যাটসম্যান। দীনেশ কার্তিক করেন ১২৯, ওয়াসিম জাফর ১৩৮, রাহুল দ্রাবিড় ১২৯ ও শচীন টেন্ডুলকর অপরাজিত ১২২। এছাড়া ধোনি করেছিলেন অপরাজিত ৫১ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরশু ও গতকাল রবিবার পাকিস্তানের টপ অর্ডারের প্রথম চারজন ব্যাটসম্যান করলেন সেঞ্চুরি। শনিবার শান মাসুদ ১৩৫ ও আবিদ আলি ১৭৪ রান করে আউট হন। অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক আজহার আলী ও বাবর আজম। রবিবার আজহার আলী ১৫৭ বল খেলে ১৩ চারে ১১৮ রান করে আউট হন। এরপর বাবর ১৩১ বল খেলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় বরাবর ১০০ রান করেন। তার সঙ্গে ২১ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর সেঞ্চুরি করার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। চার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিড পায় ৪৭৫ রানের। জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ৪৭৬ রান। যেখানে ২১২ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ ও সিরিজ হারের প্রহরণ গুনছে দিমুথ করুনারত্নের দল। চতুর্থ ইনিংসে বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করতে পারেনি সফরকারীরা। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান তুলতেই অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে হারায় তারা। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১৬ রান। ১ রান পরে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন কুশল মেন্ডিস। বাবর আজমের ক্যাচ বানিয়ে মেন্ডিসকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তরুণ নাসিম শাহ। ১৯ রান করা অভিজ্ঞ এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৯৭ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে চতুর্থদিনই হেরে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে লঙ্কানরা। দীনেশ চান্দিমাল ২ ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা শূন্য রান করে আউট হন। একপাশে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও আরেক পাশ আগলে রাখেন ওশাদা ফার্নান্দো (৯৬*)। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন নিরোশান ডিকওয়েলা (৬৫)। এ দুইজনের ব্যাটে ম্যাচ গড়িয়েছে পঞ্চমদিনে। স্কোর ॥ পাকিস্তান প্রথম ইনিংস- ১৯১/১০ (৫৯.৩ ওভার; আসাদ ৬৩, বাবর ৬০, আবিদ ৩৮; কুমারা ৪/৪৯, এম্বুলদেনিয়া ৪/৭১, বিশ্ব ২/৩১) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৫৫৫/৩ ডিক্লেঃ (১৩১ ওভার; মাসুদ ১৩৫, আবিদ ১৭৪, আজহার ১১৮, বাবর ১০০*, রিজওয়ান ২১*; কুমারা ২/১৩৯, এম্বুলদেনিয়া ১/১৯৩)। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস- ২৭১/১০ (৮৫.৫ ওভার; করুনারতেœ ২৫, মেন্ডিস ১৩ ওশাদা ৪, কুসল ১৩, ম্যাথুস ১৩, এম্বুলদেনিয়া ১৩, চান্দিমাল ৭৪, ডি সিলভা ৩২, দিকওয়েলা ২১, পেরেরা ৪৮; শাহিন শাহ ৫/৭৭, আব্বাস ৪/৫৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২১২/৭ (৬০.১ ওভার; করুনারতেœ ১৬, ফার্নান্দো ১০২*, কুসল ০, ম্যাথুস ১৯, চান্দিমাল ২, ধনঞ্জয়া ০, দিকওয়েলা ৬৫, দিলরুয়ান ৫; শাহিন ১/৫১, আব্বাস ১/৩৩, নাসিম ৩/৩১, ইয়াসির ১/৮৪, হারিস ১/১০)। ** চতুর্থদিন শেষে
×