ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রফেসর ড. আবদুল খালেক

আওয়ামী লীগের তুলনা আওয়ামী লীগই

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

আওয়ামী লীগের তুলনা আওয়ামী লীগই

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক একটি আলোচনার কথা অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম। বাংলাদেশের ভৌগোলিক আকৃতি ক্ষুদ্র হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের তালিকা বেশ দীর্ঘ। রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য বাংলাদেশের মতো উর্বর স্থান বোধ করি বিশ্বে খুব কমই আছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যার কথা যদি জানতে চাওয়া হয়, আমি একটু বিব্রতই বোধ করব, কারণ রাজনৈতিক দলের সঠিক পরিসংখ্যান আমার জানা নেই। তবে আনুমানিক একটি সংখ্যা হয়ত বলা যাবে। নানা রকম রাজনৈতিক জোটের নাম পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়, যেমন ১৪ দলীয় জোট, ১৫ দলীয় জোট, ২০ দলীয় জোট, ঐক্য জোট ইত্যাদি। জোটের বাইরেও কিছু রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব আছে। সব মিলিয়ে দেশে ৬০টির অধিক রাজনৈতিক দল রয়েছে, এমন অনুমান হয়ত সত্যের কাছাকাছি যাবে। পাকিস্তান আমলে দেশে এতগুলো রাজনৈতিক দল ছিল না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান আমলের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেমন বিভাজন ঘটেছে, আবার বেশ কিছু নতুন দলও গঠিত হয়েছে। দেশে এমন কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে, যাদের নেতাকর্মীদের দেখতে হলে অণুবীক্ষণযন্ত্রের ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। ১৯৪৭ সালের আগে ব্রিটিশ ভারতে প্রধান রাজনৈতিক দল ছিল দুটি। কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ। ভারতের স্বাধীনতা এবং ভারত বিভাজনের ক্ষেত্রে দল দুটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারত বিভাজনের প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামের একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলিম লীগ। পাকিস্তান জন্মের পরপরই দেশের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে ভয়ানক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ১৯৪৮ সালে মুসলিম লীগ নেতা পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে যখন ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, তখন সচেতন ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রচ- প্রতিবাদ জানানো হয়। সে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সর্বস্তরে। শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। এই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপলব্ধি জাগে মুসলিম লীগের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মানুষের কোন স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। পূর্ব বাংলার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য পৃথক একটি রাজনৈতিক দল গঠন অপরিহার্য। এই উপলব্ধি থেকেই ১৯৪৯ সালের জুন মাসে গঠিত হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামের একটি রাজনৈতিক দল। দলীয় প্রতীক হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশের জীবন-সারথী ‘নৌকা’। নামটির মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ ছিল। যে কারণে ১৯৫৫ সালে কাগমারী সম্মেলনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ হয়ে যায় ‘আওয়ামী লীগ’। ১৯৫৫ সালে সাম্প্রদায়িকতার নামাবলী ঝেড়ে ফেলে সেই যে অসাম্প্রদায়িকতার পথে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েছে, সে যাত্রা আজও অব্যাহত আছে। অসাম্প্রদায়িকতা আওয়ামী লীগের গর্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগকে মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রবীণ নেতা শেরে বাংলা একে ফজজুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং নবীন নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’কে। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগ শোচনীয়ভাবে হেরে যায়। যুক্তফ্রন্ট যাতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য শুরু হয় নানা রকম ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রেরই ফসল, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল। আইয়ুব খান রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর বুঝতে পারেন পূর্ব পাকিস্তানের শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ মুজিব। অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো হয় শেখ মুজিবের ওপর। নানা অভিযোগ এনে শেখ মুজিবকে মাসের পর মাস জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়। এত নির্যাতনের মধ্যে থেকেও ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ঘোষণা করেন পূর্ব বাংলার মুক্তির সনদ ৬ দফা। শেখ মুজিবের ৬ দফাকে আইয়ুব খান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণারই নামান্তর হিসেবে গণ্য করেন। একপর্যায়ে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। এ মামলাটি প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু পূর্ব বাংলার সচেতন মানুষ প্রচ- আন্দোলনের মাধ্যমে জেনারেল আইয়ুবের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেয়, শেষ পর্যন্ত ১৯৬৯ সালে দেশে ঘটে যায় এক গণঅভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুবি শাসনের। ততদিনে শেখ মুজিব বাঙালীর কাছে হয়ে ওঠেন ‘বঙ্গবন্ধু’। যে কোন দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার আগে প্রয়োজন দেশের মানুষকে রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, তার অধিকার বোধ সম্পর্কে, তার আত্মমর্যাদা সম্পর্কে সজাগ করে তোলা। আর এসব কাজের জন্য প্রয়োজন সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠনের, প্রয়োজন বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্বের। এর যে কোন একটির অভাব ঘটলে মুক্তিযুদ্ধ তথা দেশের স্বাধীনতা অর্জন ব্যর্থ হতে বাধ্য। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা এ কথাই প্রমাণ করে, একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠন এবং বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্ব তখন ছিল। সে সময়ের সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠন নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগ এবং যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয় বটে, তবে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। বঙ্গবন্ধু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর তারিখে জেলখানার অভ্যন্তরে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। হত্যার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। দেশে শুরু হয় সামরিক শাসন। বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর পাকিস্তানী সামরিক শাসনের অনুকরণে পুনরায় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ ৭০ বছর ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। দলটির শক্তিশালী কোন দর্শন বা রাজনৈতিক সংস্কৃতি না থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। প্রসঙ্গক্রমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকে দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিষয়ে কোন কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগের যিনি প্রাণশক্তি, সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসবেন। কারণ আওয়ামী লীগ এবং শেখ মুজিব একে অপরের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং দর্শনকে ধারণ করেছিলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়, সেই সংবিধানের মধ্যেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনার লক্ষ্যে যে সংবিধান রচিত হয়, সে সংবিধানে চারটি মূল নীতির কথা বলা হয়েছে যেমনÑ গণতন্ত্র, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সংবিধানের মূল নীতির কথা আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই বলে এসেছেন। কাজেই এমন রাজনৈতিক দর্শন এবং নেতা যে দলের আছে সেই দলকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। তবে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের ছত্রছায়ায় একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয় যার বর্তমান নাম বিএনপি। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান তথা সামরিক শাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি বেশ পরিচিতি লাভ করে। আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যেই মূলত দলটি গঠিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের শেকড় এত গভীরে প্রোথিত যে, একে উপড়ে ফেলার কাজটি খুব সহজ ছিল না। তবে চেষ্টা কম হয়নি। জিয়ার পরে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জেনারেল এরশাদও ‘জাতীয় পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কাছাকাছি সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ডালিম-ফারুকদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে ‘ফ্রিডম পার্টি’। সামরিক ব্যক্তিদের হাতে গঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মুছে ফেলা। বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে প্রচ- ঝড় বয়ে যেতে থাকে। লক্ষ্য করার বিষয় আওয়ামী লীগে যখনই কোন সঙ্কট দেখা দিয়েছে, গ্রাম বাংলার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগে যখন নেতৃত্বের সঙ্কট দেখা দেয়, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি ওঠে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত করা হোক। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল, জাতির কাছে আজ তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ আজ সাফল্যের উচ্চশিখরে আরোহণ করেছে। সমগ্র বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে বাংলাদেশের অগ্রগতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করেছিলেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার দ্বারা দেশকে আজ অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে চলেছেন। বাংলাদেশ যে অতি শীঘ্র একটি মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে, তার সব রকম ক্ষেত্র এখন প্রস্তুত। যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের চক্রান্তকে তিনি কঠোর হাতে দমন করতে সমর্থ হয়েছেন। চীন, জাপান, ভারত, আমেরিকাকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে পররাষ্ট্র নীতি সাজিয়েছেন, বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। দেশের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা যে অত্যন্ত বেড়ে গেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তা উপলব্ধি করা যায়। শিক্ষাবিদ হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পরিম-লের কথা বলতে পারি। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত শিক্ষক শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করতেন, এখন তাঁরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বন্দনায় পঞ্চমুখ। দেশরতœ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগেরও জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। এটাই স্বাভাবিক, কারণ শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ অবিচ্ছিন্ন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল বেশ খানিকটা অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। এ মুহূর্তে দেশে বিরোধী দল নেই বললেই চলে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাংলাদেশে একটি অতুলনীয় দল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে বলা যেতেই পারে এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের তুলনা একমাত্র আওয়ামী লীগই। লেখক : উপাচার্য, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী; সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×