ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে স্বল্প সুদে তহবিল সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব জমা

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

শেয়ারবাজারে স্বল্প সুদে তহবিল সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব জমা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিতে কাজ চলছে। শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করতে স্বল্প সুদে বিশেষ তহবিল সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব আরও এক ধাপ এগিয়েছে। বুধবার প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুসারে, আলোচিত তহবিলের আকার হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম ২ বছর হবে গ্রেস পিরিয়ড। এ সময়ে তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে না। পরবর্তী চার বছরে তা সুদ-আসলে ফেরত দেয়া হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট কাটানো ও এখানে গতি ফেরানোর লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সঙ্গে গত ২০ নবেম্বর নেতৃস্থানীয় ৭ জন ব্রোকার বৈঠক করেন। তারা হচ্ছেনÑ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান, মার্চেন্ট ব্যাংক এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস, সিটি ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসুফ ও এআইবিএল ক্যাপিটালের পরিচালক মোঃ রেজাউর রহমান। বৈঠকে ব্রোকাররা বাজারে তারল্য বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বিস্তারিত ও লিখিত প্রস্তাব দেয়ার আহ্বান জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার তাদের পক্ষ থেকে আলোচিত প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। আমরা মনে করি, প্রস্তাবিত তহবিলটি অনুমোদন পেলে বাজারের তারল্য সঙ্কট অনেকটাই কেটে যাবে। বাজার গতিশীল হয়ে উঠবে।
×