ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতিবাজরা আমাদের নজরদারিতে আছে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

দুর্নীতিবাজরা আমাদের নজরদারিতে আছে ॥ কাদের

রিফাত-বিন-ত্বহা, নড়াইল থেকে ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নেতা তৈরির বিশাল কারখানায় পরিণত হয়েছে। কর্মী উৎপাদন কমে গেছে। আগে দলে কর্মীর সংখ্যা বেশি ছিল এখন সময় পাল্টে গেছে। এখন নেতার সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। যে সকল নেতারা নিয়োগ বাণিজ্য করে তারাই কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।’ দুর্নীতিবাজরা আমাদের নজরদারিতে আছে। দলে শুদ্ধি অভিযান চলছে, দুর্নীতিবাজদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলে সৎ ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সন্ত্রাস-দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এ শুদ্ধি অভিযান সবাই মিলে সফল করতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিকে না বলুন, সন্ত্রাসকে না বলুন, মাদককে না বলুন, টেন্ডারবাজিকে না বলুন, চাঁদাবাজিকে না বলুন। মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন উপলক্ষে কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে নৌকার আদলে সুদৃশ্য মঞ্চ তৈরি করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিতর্কিতদের দলে টানবেন না। আওয়ামী লীগে হায়ার করা কর্মীদের আনার দরকার নেই। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আত্মীয় স্বজনকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে আনা চলবে না। ত্যাগী দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনভাবেই কোণঠাসা করা চলবে না। দুঃসময়ের কা-ারি কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে দলে তাদের যথযথ স্থানে ঠাঁই দিতে হবে। দলীয় সভা-সমাবেশে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণ কম বানিয়ে সেই টাকা অসহায়-দুস্থ নেতা-কর্মীদের পিছনে ব্যয় করার পরামর্শ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দূরের স্বপ্নকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কাছে নিয়ে এসেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন, পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপন, ঢাকায় মেট্রোরেল চালুর পদক্ষেপ, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, সমুদ্র বিজয়সহ নানা উন্নয়নের প্রমাণ বহন করে। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে জাতির পিতার হত্যাকারীদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়েছে। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেদিন ভেবেছিল এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু ঘাতকরা সেটা পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের দুঃসময়ের সাহসী কা-ারি বলে তিনি উল্লেখ করেন। সম্মানীত অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। বিএনপি বিচার মানে না, আদালত মানে না। বিএনপি যদি রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করে, আমরা তা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করব। কিন্তু তারা যদি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
×